খাগড়াছড়ি সদরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, দীঘিনালায় বন্যার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা সদরের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও দীঘিনালায় অপরিবর্তিত রয়েছে। বিশেষ করে দীঘিনালার ছোট মেরুং ও কবাখালী এলাকায় কয়েক শত পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে ৪৫টি পরিবার।

উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন এলাকায় বেইলী ব্রিজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সাথে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কবাখালী এলাকায় সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দীঘিনালা-সাজেক সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দীঘিনালার মেরুং ও কবাখালী ইউনিয়নের ছোট মেরুং, বেতছড়ি ও হাজাছড়াসহ ২০টি গ্রামের ১হাজারের বেশি পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। মেরুং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৪৮টি পরিবার। পানিবন্দী পরিবারের পাশে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম ইসমাইল হোসেন। তিনি মঙ্গলবার সকালে পারিবারিকভাবে ৪৮টি পরিবারের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।

গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে মাইনী নদীর উজানের ঢলে এসব গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি থামলেও আকাশ মেঘলা। আবারও নামতে পারে বৃষ্টি।
মাইনী নদীর পানি বেড়ে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের বিভিন্ন সেতু ও পয়েন্ট ডুবে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মেরুং বাজারসহ আশপাশের বিবিন্ন হাট বাজারে পানি ঢুকে পড়ায় বন্ধ রয়েছে হাট বাজার।
চিটাগাং পাড়ার বাসিন্দা রুমা বেগম জানান, বন্যার পানিতে বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় তারা স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।

দীঘিনালা বাস টার্মিনালের শান্তি পরিবহন কাউন্টারের লাইনম্যান মিন্টু চৌধুরী জানান, রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে লংগদু থেকে ছেড়ে আসা শান্তি পরিবহনের বাস দীঘিনালা আসতে পারেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মোস্তফা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসছে।

পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীতে লাকড়ি ধরতে গিয়ে ভেসে যাওয়া আরিফের লাশ এখনো উদ্ধার হয়নি।