খালেদার মামলার একাংশের পুনঃতদন্ত আবেদন খারিজ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার একাংশের পুনঃতদন্ত চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান।

এর আগে গত ৯ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

গত ৭ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার একাংশের পুনঃতদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। নিম্ন আদালতে একই আবেদন করা হলে তা খারিজ করে দেয়ায় হাইকোর্টে আবেদন করেন বলে মঙ্গলবার জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।

জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, সৌদি আরব থেকে ট্রাস্টের নামে টাকা এসেছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আমাদের বক্তব্য হচ্ছে সৌদি থেকে কোনো অর্থ আসেনি। অর্থ এসেছে কুয়েত থেকে। যা কুয়েতের আমির পাঠিয়েছেন। তাই আমরা মামলার এই অংশটির পুনঃতদন্ত চেয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন করি।

কিন্তু গত ২ ফেব্রুয়ারি সে আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। তাই এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন বেগম খালেদা জিয়া। রাজধানীর বকশী বাজারে স্থাপিত ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে মামলাটির বিচার চলছে।

২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতিমদের সহায়তার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ মোট আসামি ৬ জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।