খালেদা জিয়ার দেখা চান আইনজীবীরা

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চান তার দুই আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের অস্থায়ী আদালতে এ আবেদন জানিয়েছেন তারা। এ মামলার অভিযোগে করা মামলায় বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো শুনানি হয়।

আবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও কাস্টডির ধারণা নিতে তার সঙ্গে দেখা করতে চান এ দুই আইনজীবী। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার জামিন বাড়ানোর আবেদনও করা হয়েছে।

আবেদনে তারা আরও বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তার আইনজীবীদের বর্তমানে কোনো ধারণা নেই। তার (খালেদা) শারীরিক অবস্থা ও কাস্টডির বিষয়ে খবরাখবর রাখা আবশ্যক হয়ে পড়েছে।

চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ সাত বছর কারাদণ্ড দাবি করে দুদক প্রসিকিউশন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক।

তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলায় অপর আসামিরা হলেন তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। আর অপর দুই আসামি জামিনে আছেন।

প্রসঙ্গত চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়।

একই সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেকের দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করে রায় ঘোষণা করেন আদালত।

রায় ঘোষণার পর পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। প্রথম শ্রেণির কারাবন্দি হিসেবে বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।