গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার জন্য জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই: এনডিপি

জাতীয় ঐক্যের বাস্তবতা নিরিখে এক টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোত্তর্জা ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ৫০ বছর শেষ হতে যাচ্ছে অথচ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা ভুলে আমরা কাঁদা ছুড়াছুড়িতে ব্যস্ত হয়ে পরেছি। বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে সর্ব স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্তে হত্যা করা হয়েছিল। সেই স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্তে আবার একজন সেক্টর কমান্ডার রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিল। যা এদেশের কোন দেশপ্রেমিক মানুষের কাজ ছিল না। দেশি—বিদেশি চক্রান্তে কিছু বিপথগামী সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তার কাজ। ২০০৯ সালে আমাদের দেশপ্রেমিক ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে (বিডিআর বিদ্রোহ) হত্যা করা হয়েছিল, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের পথ চলতে হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, দেশে যখন করোনার ভয়াবহ থাবা আমাদের আঘাত হানছে। শহীদদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আমরা সংঘাত করে যাচ্ছি। আসুন কোন সংঘাত নয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালনা করি। কেহ সরকার কেহ বিরোধী দলে থাকবে এটাই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা স্বাভাবিক। যেমন এক মায়ের পেটের সন্তানের দ্বিমত থাকতে পারে কিন্তু মা’র কোন বিরোধ থাকে না। দেশ আমাদের সবার সমান।

তাঁরা বলেন, ৫ বছরের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছিল। যারা মহামান্য রাষ্ট্রপতি কতৃর্ক মনোনয়ন ও নিয়োগ পেয়েছিলেন। তারা সংবিধানকে উপেক্ষা করে চলার চেষ্টা করেছিলেন, তা আজ আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা। সেই গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত হয়েছে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে। অতীতের সবকিছু থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে রেখে রাষ্ট্র এবং সরকারের কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানাচ্ছি।

এখানে উল্লেখ্য যে, নির্বাচন কমিশন যে সংবিধান লংঘন করেছিলেন তার স্পষ্ট প্রমাণ আছে। যদি এগুলো বিবেচনায় না রাখি তাহলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনে সমূহ বিপদের আশংকা থেকে যাবে। আমাদের জাতীয় জীবনে তিনবার বিপদগ্রস্ত হয়েছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট, ১৯৮১ সালের ৩০শে মে ও ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি। এই দিনগুলো ছিল হিং¯্র মানুষের সৃষ্টি আর গত ১৮ মাস যাবত চলছে করোনা মহামারী ও রাশিয়া—ইউক্রেন যুদ্ধ যা প্রাকৃতিক বৈশ্বিক বিপর্যয়।

রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সামাজিক সংগঠন পেশাজীবিসহ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রয়োজন ছিল। ৫০ বছর পর হলেও সংবিধানের মধ্যে আইন মোতাবেক নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে। এই নির্বাচন কমিশন সংবিধান মোতাবেক কাজ করবেন, এটাই প্রত্যাশা।

এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে এনডিপির শোক জানিয়েছেন।

ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোত্তর্জা ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা সোমবার এক শোক বিবৃতিতে সাবেক সফল সচিব ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।