গাইবান্ধায় প্রতি কেজি তরমুজ ৫০-৬০ টাকা!

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহে ইফতারের প্রধান উপকরণ হয়েছে তরমুজ। কিন্তু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই তরমুজ এখন কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রমজান আর বৈশাখের খরতাপকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধার ফল ব্যবসায়ীরা কুটকৌশলে বাড়িয়ে দিয়েছে তরমুজের দাম। ফলে ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও ক্রয় ক্ষমতার বা‌হি‌রে দাম হওয়ায় হতাশ ম‌নে ফিরে যাচ্ছে অনেকে ক্রেতা।

গাইবান্ধা‌ শহরের বিভিন্ন মোড়ের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, তরমুজের দামের বিশাল ফারাক। গত ১-২ বছর আগেও যেখানে তরমুজ আকারের উপর ভিত্তি করে কিনতে পাওয়া যেতো। এখন সেখানে এক কেজি তরমুজের দাম চলছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বেশি ভালো মানেরগুলো ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে ৫ কেজির একটি তরমুজের জন্য ক্রেতাকে গুণতে হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
এছাড়া ৮ থেকে ১০ কেজি একটি তরমুজ ওজন ছাড়া আগে বিক্রি হতো ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। যা এখন ওজনে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। অথচ এই তরমুজের দাম ১৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।
প্রতি তরমুজ কমপক্ষে ১০০ টাকার বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। এতো ভারী একটি ফল ছোট পরিবারের জন্য কিনতে গেলেও ৫ কেজির নিচে হয় না।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুম শেষ হওয়ায় অধিকাংশ কৃষকের ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি প্রায় শেষের পথে। ফলে হঠাৎ করে এর চাহিদা বেড়ে গেছে।

অপরদিকে, প্রচন্ড গরম এবং রমজান চলমান থাকায় মানুষ ঝুঁকে পড়েছে তরমুজের দিকে। তবে বাজারে গিয়ে অনেক ক্রেতা হোচট খাচ্ছে তরমুজের দাম শুনে।

এদিকে, ওজনে তরমুজ বিক্রি করা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বাক-বিতন্ডা হওয়ার খবরও মিলেছে। এতে ক্রেতা-বিক্রেতারা উভয় পক্ষই বিপাকে জড়িয়ে পড়ছেন।

এ ব্যাপারে তরমুজ ক্রেতা হায়দার আলী জানান, রমজান বলে তরমুজ কিনেছি। তবে ওজনে জীবনে এই প্রথম কিনলাম।
সাজ্জাত নামে আরেক ক্রেতা জানালেন, ১৫ দিন আগে যে সাইজের তরমুজ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় কিনেছি, বর্তমানে ওজনে তা ৩০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।

গাইবান্ধার ট্রাফিক মোড়ের এক ফল বিক্রেতা জানান, ক্ষেতে তরমুজ নাই, আগের চেয়ে বেশী দামে কিনতে হচ্ছে। এতে ওজনে বিক্রি না করে আগের মত প্রতি পিস হিসেবে বিক্রি করলে আসল টাকা উঠবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অপর এক বিক্রেতা জানান, ওজন ছাড়া বিক্রি করলে অর্ধেক দামও পাওয়া যাবে না।

অপরদিকে এমন পরিস্থিতিতে দেশের জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রিকে ভোক্তাদের সঙ্গে বড় রকমের প্রতারণা ও চালবাজি আখ্যায়িত করছেন।