গাইবান্ধায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে কিশোরী দলের সমাপনী অনুষ্ঠান

এ্যাকসিলারেটিং এ্যাকশন টু এন্ড চাইল্ড ম্যারেজ প্রকল্পটি ইউএনএফএ’ও অর্থায়নে এবং কেয়ার বাংলাদেশ-এর কারিগরি সহযোগিতায় ৬টি জেলায় বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহ কর্তৃক মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এই প্রকল্পের আওতায় কিশোরী দল দ্বারা পরিচালিত কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা শিরোনামে এবং “বয়ঃসন্ধিকাল নিয়ে কিসের ভয়, আমরাই করব জয়” শ্লোগানকে সামনে রেখে ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নে গণউন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে) এবং কমিউনিটি বেইজড অর্গানাইজেশন অবলম্বন, ছিন্নমূল মহিলা সমিতি, কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকাল বিষয়ক প্রচারণা কার্যক্রমের সমাপনি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

কার্যক্রমের শুরুতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রদক্ষিণ করে এবং শেষে আলোচনা সভা ও ৪টি উপজেলার কিশোরীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কার্যক্রমের সমাপ্তি হয়। বিভিন্ন ফেস্টুনের মাধ্যমে কিশোরীরা তাদের কার্যক্রম তুলে ধরে।

উক্ত অনুষ্ঠানটির উদ্দেশ্য ছিল কিশোরীদলের এ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ও অর্জন সম্পর্কে অবহিত করা। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন কিশোরীদলের সদস্য কাংখিতা ও পয়স্তি চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অবলম্বন এর নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী ও প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রকল্প সমন্বয়কারী কিশোর কুমার সরকার।

সম্মানীত অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নার্গিস জাহান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহফুজার রহমান, উদীচী-গাইবান্ধা সভাপতি জহুরুল কাইয়ুম, ডা: তানজিলুস সাদিয়া, উদায়ন সাবলম্বী উন্নয়ন সংস্থা নির্বাহী পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন মন্ডল, গণউন্নয়ন কেন্দ্রের সমন্বয়কারী জয়া প্রসাদ, নারী নেত্রী ও শিক্ষক অঞ্জলী রানী দেবী, সাংস্কৃতিক কর্মী শিরিন আকতার, সিএমসি’র নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম, শিশু উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. শফিউল ইসলাম ভূঁইয়া, কিশোরী দলের নেতা শারমিন আকতার প্রমুখ।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন অবলম্বন এর কিশোরীদের মেন্টর মারিয়া মুর্মু। এই কর্মসূচির মাধ্যমে কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকাল বিষয়ে তাদের শারীরিক, মানষিক পরিবর্তন, প্রচলিত কুসংস্কার, বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরী ও তাদের অভিভাবকদের করণীয় বিষয়ে আলোচনা ও সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা করা হয় এবং কিশোরীদলের কার্যক্রম চলমান রাখার ব্যাপারে সরকারি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে অতিথিরা প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। ভবিষ্যতেও কিশোরীদলের এমন সচেতনতামূলক কাজ অব্যাহত থাকবে।