গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদীর চরাঞ্চলে জলবায়ু বিষয়ক গণশুনানীতে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী

জলবায়ুর প্রভাবে চরাঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিয়ে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদীর চরে জলবায়ু বিষয়ক গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদীর কুন্দেরপাড়া চরে সেচ্ছাসেবী সংগঠন গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের এই গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি।

জিইউকের প্রতিষ্ঠাতা এম আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি, জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক ও পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন।

বিচারক প্যানেলে ছিলেন পানি ও জলবায়ু বিজ্ঞানী ড. আইনুন নিশাত, সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিষ্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট আশীষ গুপ্ত ও লেখক গবেষক অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম।

জলবায়ুর প্রভাবে গাইবান্ধার তিস্তা যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর চরা লের মানুষের বন্যা, খড়া, নদীভাঙ্গনসহ বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি তুলেন চরা লের নারী সফুরা বেগম, লাইলী বেগম, সাবানা বেগম ও লাল মিয়াসহ চরা লের বাসিন্দারা।

রায়ে ড. আইনুন নিশাত বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্ষতিগ্রস্তের জন্য ধনী রাষ্ট্রগুলো দায়ী। গণশুনানীতে সবদিক বিবেচনা করে জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চরবাসীকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য ধনী দেশগুলোর প্রতি আহবান জানান।

মন্ত্রী বলেন, বন্যার দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে বাড়িঘর উচু করতে হবে। কোন জায়গা ফেলে রাখা যাবেনা। আমরা নদীতে মাছ পাই না কেন, আমরা যখন মাছ ধরা বন্ধ করি অন্যদেশ তখন মাছ ধরা শুরু করে। সে কারণে মাছ পাওয়া যায় না নদীতে।