গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, আটক ৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের মাঠের হাট শ্মশান চৌকিদারের ঘাট এলাকার ধানক্ষেত হতে আব্দুল আউয়াল মিয়া (২৪) নামের এক ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধানক্ষেত হতে গলাকাটাসহ গোটা শরীরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে।

আউয়াল হোসেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বর্মতত গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে।

সে দীর্ঘদিন হতে উপজেলার মাঠেরহাট চৌরাস্তা মোড়ে মোবাইল ব্যাংকিং ও ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করে আসছিল।

এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন- মো. জাকির হোসেন, মো. জুয়েল মিয়া, মো. রাসেল মিয়া, মো. লিটন মিয়া ও মো. খলিল মিয়া।

জানা গেছে, বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত আব্দুল আউয়াল দোকান হতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজা খুজি শুরু করে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ধানক্ষেতে সেচ মোটরের পানি দিতে গিয়ে স্থানীয় একজন কৃষক মরদেহটি ধানক্ষেতে পরে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। স্থানীয়রা ছুটে এসে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা জানান, মোবাইলে ক্যাসিনো খেলার টাকা পয়সার লেনদেন হত ওই ফ্লেক্সিলোডের দোকানে। তাদের ধারনা ক্যাসিনো খেলার টাকা লেনদেন নিয়ে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হতে পারে।

নিহতের পিতা মো. হাফিজার রহমান জানান, প্রতিদিন রাত ১১টা হতে ১২টার মধ্যে বাড়িতে আসে সে। বুধবার রাত ২টা পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় দোকানে খুঁজতে গিয়ে দেখি দোকান এবং তার নিকট থাকা সকল মোবাইল ফোন বন্ধ। সারারাত খোঁজার পর সকালে তার লাশ পাই। তিনি তার সন্তানের হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম রানা বলেন, আউয়াল নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।