গাইবান্ধায় অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থী সজিবের

শৈশব থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা সজিব মোদকের। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছিলো, সাফল্যও এসেছে। সুযোগ পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। কিন্তু এখন সেই স্বপ্নই যেন ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চরম অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে গাইবান্ধা শহরের ব্রীজরোড মিস্ত্রীপাড়ার বাসিন্দা ও মধুবিড়ি ফ্যাক্টরির নৈশপ্রহরী সুনীল কুমার মোদকের ছেলে সজিব মোদকের।

স্থানীয়রা জানায়, সজিব অত্যান্ত মেধাবী ছাত্র। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন। ডি ইউনিটে ৩৩ তম স্থান অর্জন করেছেন তিনি।

এর আগে গাইবান্ধা ব্রীজরোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিএসসি পরীক্ষায় বৃত্তি, গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি, এসএসসি ও সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস অর্জন করেছেন।

সজীবের মা ডলি রানী মোদক বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমার স্বামী গাইবান্ধার দাড়িয়াপুরের মধু বিড়ি ফ্যাক্টরির একজন নৈশপ্রহরী। সামান্য বেতনের টাকায় সংসার চলে। আমি বাসায় হোমিও দোকানের ওষুধের প্যাকেট বানাই। এতে খরচ বাদে মাত্র ৫০ টাকা লাভ হয়। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সেখানে সন্তানের লেখাপড়া চালানোর খরচ বহন করা দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সজিবের বাবা সুনীল কুমার মোদক বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হওয়ার জন্য বই, পোশাক, যাতায়াতসহ প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার দরকার। এমতাবস্থায় এতো টাকা যোগার করা মোটেও সম্ভব নয়। এখন ছেলেটার ভবিষ্যৎ চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটছে। তিনি আরোও বলেন, যদি সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে, তাহলে তার মেধাবী ছেলের স্বপ্ন পুরণ হবে।