স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবি

গাইবান্ধায় মানববন্ধন সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের উদ্যোগে সোমবার (১৪ নভেম্বর) মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি পালন করা হয়।

বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন গাইবান্ধা জেলা শাখা এইসব কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধন শেষে ১৩ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদ হাসান সিদ্দিকীর কাছে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে হস্তান্তর করা হয়।

জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মুখ ডিবি সড়কে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সভাপতি শরীফ মো. আবু ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক মিয়া, সংগঠনের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মাদ্রাসার পাঠ্য পুস্তকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির যে সমস্ত বই স্কুল ও মাদ্রাসায় বাধ্যতামূলকভাবে পড়ানোর জন্য এনসিটিবি নির্দেশনা জারি করেছে তা ধর্মপ্রাণ মুসুলমানদের মর্মাহত এবং তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে শঙ্কিত করে তুলেছে। তারা বলেন, ওইসব বইয়ে কুরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়েকেরাম, আহলে বাইত, মুসলিম মনিষী, বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিকদের বাণী, উদ্বৃতি, নীতি-নৈতিকতা সৃষ্টিকারী কোন বিষয় স্থান পায়নি। উপরন্ত বিজ্ঞান বইয়ে উলঙ্গ নারী-পুরুষের ছবি, ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন অঙ্গের বর্ণনা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ঈমান হারা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে যা ইউরোপীয় সংস্কৃতির অংশ বিশেষ।

তাছাড়া সামগ্রিক বিবেচনায় ৯১% মুসলমানের দেশে পাশ্চাত্য ও দেব-দেবীর বিশ্বাস ও তাদের আরাধনার শিক্ষা সংস্কৃতির আদলে তৈরী বইগুলো স্কুলের জন্যও উপযোগী নয়। মাদ্রাসায় এ সব বই পাঠ্যপুস্তক হিসেবে গ্রহণ ও ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন।

বক্তারা মাদ্রাসার শিক্ষার স্বীকৃতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণের স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী এবং পাঠ্যবই এনসিটিবি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের বিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ আলেমদের সমন্বয়ে প্রণয়নসহ তাদের ১৩ দফা দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।