গুলিস্তানে বিস্ফোরণে বার্ন ইউনিটে ভর্তি সবার শ্বাসনালি পোড়া

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চি‌কিৎসাধীন ১১ জ‌নের মধ্যে একজনকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বার্ন ইউনিটে ভর্তি ১০ জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নয় ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (৮ মার্চ) বার্ন ইনস্টিটিউটে সাংবা‌দিক‌দেরএ তথ্য জানান তিনি।

সামন্ত লাল সেন ব‌লেন, গতকালের দুর্ঘটনায় আমা‌দের এখা‌নে ১১ জন রোগী ছিল, তার ম‌ধ্যে একজন‌কে ঢাকা মে‌ডি‌কে‌লে ট্রান্সফার করা হ‌য়ে‌ছে; কারণ তার বার্ন নাই।

তিনি ব‌লেন, যে ১০ জন আছে তার ম‌ধ্যে তিনজন আইসিইউতে, দুইজন লাইফ সা‌পো‌র্টে আছে। আর বা‌কিরা আছেন এস‌ডিইউ‌তে।

চি‌কিৎসাধীন ১০ জ‌নের ম‌ধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত নয় জা‌নি‌য়ে বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ব‌লেন, যারা আছে তা‌দের কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। কারণ কারো শরীরের ৮০ শতাংশ, কারো ৯০ শতাংশ, কারো ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। সবারই শ্বাসনালী পু‌ড়ে গে‌ছে। আমরা কাউকেই শঙ্কামুক্ত বল‌তে পারবো না।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকাল পৌনে চারটা ৫০ মিনিটে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে সাত তলা একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেসমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।

বিস্ফোরণের পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিতের কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক দিনমনি শর্মা।

ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২০ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০ জন এবং শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্সটিটিউটে ১০ জন ভর্তি আছেন।