গোবিন্দগঞ্জে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে হাইওয়ে পুলিশের ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে মহাসড়কের সংখ্যা ও দৈর্ঘ্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদা ও পণ্য পরিবহনে প্রয়োজনের পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের সংখ্যা ও কর্মকাণ্ড। আর এই কর্মকান্ডকে গতিশীল ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা আনতে হাইওয়ে পুলিশের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত এই ইউনিটটি ২০০৫ সালের ১১ জুন যাত্রা শুরু করে। ২০০৯ সালে হাইওয়ে পুলিশ বিধিমালা প্রণীত হওয়ার মাধ্যমে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়।

১১ জুন (রবিবার) বিকেলে কেক কাটার মধ্য দিয়ে হাইওয়ে পুলিশের প্রতিষ্ঠার ১৮তম বছর উপলক্ষে বগুড়া রিজিয়নের আওতাধীন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম।এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এস আই রফিকুল, এস আই শামছুল হক, এস আই আবুল বাশার ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিকরা প্রমুখ।

হাইওয়ে পুলিশের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, হাইওয়ে পুলিশ দেশ ও দেশের জনগণের সেবায় নিয়োজিত। সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন অনিয়ম রোধ করা হাইওয়ে পুলিশ একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সকলের সার্বিক সহযোগিতায় সড়ক-মহাসড়কের অনিয়ম দূর করতে হবে।

এ প্রতিষ্টাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাদক চোরা চালানসহ সড়কের নানা অপরাধ রোধে ৩হাজার সদস্য কাজ করছে। সারা দেশের ৭৩টি থানা-ফাঁড়ির মাধ্যমে এই কাজ করা হচ্ছে। এসময় তারা আরো বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় কম জনবল দিয়ে চলছে হাইওয়ে পুলিশ। তাই নতুন ইউনিট ও থানা ফাঁড়ি খুলতে হবে। প্রতিটি থানা ফাঁড়িতে একটি বা দুটি গাড়ি থাকা যথেষ্ট নয়। ৪০-৫০ কিলোমিটার থানা-ফাঁড়ি এলাকায় কাজ করতে গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন তারা।