ঘণ্টায় ১৮ জন শিশুর এইচআইভি

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ শুক্রবার জানিয়েছে, গত বছর প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ১৮ জন শিশু এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে। আর একই সময়ে তিন কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের দেহে এই ভাইরাস ছিল।

এর মধ্যে ২১ লক্ষ কিশোর-কিশোরী এইচআইভি নিয়ে বসবাস করেছে। ২০০৫ সালের তুলনায় সংখ্যাটি ৩০ শতাংশ বেশি। ১৪ বছরের কমবয়সি প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার কিশোর-কিশোরী গত বছর এইডস সংক্রান্ত কারণে প্রাণ হারিয়েছে।

শুক্রবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে ‘২০১৭ ইউনিসেফ স্ট্যাটিসটিক্যাল আপডেট অন চিলড্রেন অ্যান্ড এইডস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ। প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে ইউনিসেফের এইচআইভি বিষয়ক প্রধান ডা: চেউই লু বলেন, ‘‘এইডস মহামারি শেষ হয়ে যায়নি। শিশু ও তরুণদের জন্য এটি এখনও হুমকি হয়ে আছে। ” তিনি বলেন, ‘‘এইডসের কারণে এত শিশুর মারা যাওয়া ও এইচআইভির সংক্রমণ থেকে তরুণদের রক্ষার বিষয়ে অগ্রগতি সামান্য হওয়ার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। ”

ইউনিসেফ বলছে, এইডসের কারণে মারা যাওয়া কিশোর-কিশোরীদের প্রায় সবাই সাব-সাহারা আফ্রিকার বাসিন্দা ছিল। এছাড়া বিশ্বব্যাপী কিশোরদের চেয়ে কিশোরীদের মধ্যে এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি বলে জানাচ্ছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি।

তবে গর্ভবতী মায়েদের শরীর থেকে নবজাতকের দেহে এইচআইভি সংক্রমণের বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। ফলে ২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লক্ষ নতুন সংক্রমণ এড়ানো গেছে।
জাতিসংঘের আরেক পরিসংখ্যান বলছে, এইডস সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০০৫ সালে ১৯ লক্ষ মানুষ এইডসের কারণে মারা গিয়েছিল। গত বছর সংখ্যাটি ছিল প্রায় ১০ লক্ষ।

ইউএনএইডস বলছে, ১৯৮১ সালে মহামারি আকারে এইডস ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ মারা গেছে।

নতুন গবেষণা শুরু
এদিকে, এইচআইভির নতুন ভ্যাকসিন ও নতুন ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে আফ্রিকায় দুটি বড় আকারের গবেষণা কার্যক্রম শুরু করছেন গবেষকরা। বৃহস্পতিবার তাঁরা এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২,৬০০ নারীর উপর তিন বছর ধরে ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তাঁরা।

– ডিডাব্লিউ