চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগী

আবহাওয়া পরিবর্তনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীদের চাপ।

গত এক সপ্তাহে প্রায় তিন শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। বিছানা সংকটে হিমশিম খাচ্ছে রোগী ও রোগীর লোকজন সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এসব রোগীদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, ঠান্ডা জনিত শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে।

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় হাসপাতালের শিশু বিভাগে প্রচুর রোগী ভর্তি রয়েছে। বিছানা সংকটে হাসপাতালের করিডোর এবং বারান্দার মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন রোগীরা। যেখানে শিশু ওয়র্ডে সরকার অনুমোদিত বেড সংখ্যা মাত্র ৪২ টি। সেখানে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দেড় শতাধিক ।

খবর নিয়ে জানাযায়, গত ৩ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে শিশু ওয়ার্ডে সর্বমোট ২৭৭জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৩ নভেম্বর সারাদিনে সর্বমোট ২৫ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। ৪ নভেম্বর সারাদিন ভর্তি হয়েছে ২৪ জন, ৫ নভেম্বর সারাদিনে ভর্তি হয়েছে ৩৭ জন, ৬ নভেম্বর সারাদিনে ভর্তি হয়েছে ৪৪ জন, ৭ নভেম্বর সারাদিনে ভর্তি হয়েছে ৪৩ জন, ৮ নভেম্বর ৩৮ জন, ৯ নভেম্বর ৪৬ জন এবং ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সর্বমোট ২০ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে।

তবে ৯ নভেম্বর বুধবার দিন বেশ কিছু রোগী ছুটি নিয়েছে। বর্তমানে বৃহস্পতিবার দিন পর্যন্ত হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে সর্বমোট ১৪১ জন শিশু রোগী ভর্তি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বিভাগে কর্তব্যরত নার্সরা। এসব শিশু রোগীদের মধ্যে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন তারা।

খবর নিয়ে জানা যায় চাঁদপুর জেলা শহরে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে গত কয়েক দিনের শৈত প্রবাহের কারনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে সাতদিনে হাসপাতালে প্রায় ৩ শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হয়েছেন।

সরজমিনে দেখা গেছে রোগীদের চাপে হাসপাতালের কোথাও ঠাঁই নেই। শিশু ওয়ার্ডের সবকটি বিছানা পরিপূর্ন হয়ে মেঝেতে ও রোগীদের জন্য বিছানা পাতা হয়েছে। এসব রোগীরা জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, খিচুনী এবং নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এছাড়া ও অনেক শিশু রোগীকে অভিভাবকরা হাসপাতালে নিয়ে এসে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে যান। একই ভাবে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বয়স্ক রোগীরাও।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডাঃ সুজাউদদৌলা রুবেল এবং ডাঃ মোঃ আসিবুল আহসান চৌধুরীর চাঁদপুর টাইমসকে বলেন আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পড়ার কারনে বৃদ্ধ এবং শিশুরা হঠাৎ, জ্বর সর্দি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে রোগীদের প্রচুর চাপ দেখা দিয়েছে।