চুয়াডাঙ্গায় ছিনতাই ডাকা‌তিসহ যেমন খু‌নের ঘটনা বে‌ড়ে‌ই চ‌লে‌ছে তেমনী অপরাধী‌কে ধর‌তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা‌হিনীও তৎপর র‌য়ে‌ছে। কিন্তু অপরা‌ধের চার্জশীট গর‌মের প‌রিব‌র্তে নরম হ‌য়ে যাওয়ায় আইনের ফাঁকফোকর দি‌য়ে অপরাধীরা বেড়ি‌য়ে আসছে সহ‌জে। ফ‌লে স‌ঠিকভা‌বে শা‌স্তি না পাওয়ায় দিন দিন সাহ‌সের মাত্রা বা‌ড়ি‌য়ে চু‌রি ছিনতাই ডাকা‌তিসহ খু‌নের যেন হ‌লি‌খেলা চল‌ছে। তারই অংশ হি‌সে‌বে রুবেল শেখ (১৪) না‌মে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৮ জুন) সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মর্তুজাপুর মাঠ খেজুর বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রুবেল (১৪) সদর উপজেলার শংকরচদ্র ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের ইয়ামিন শেখের ছেলে।

এ ঘটনায় সোহাগ আলী (২০) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আটক সোহাগ আলী একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।

ত‌বে পু‌লি‌শ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ কর‌লে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।

এ ব‌্যাপা‌রে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেল ৪টার দিকে অভিযুক্ত সোহাগ আলী দশমাইল বাজারে ভাড়ায় যাওয়ার জন‌্য ভ্যানচালক রুবেলকে ব‌লে। প‌রে রু‌বেল রা‌জি হ‌য়ে বা‌ড়ী দশমাইলের উদ্দে‌শ্যে রওনা হয়। সেসময় তা‌দের প্রলোভনে আট‌কে যায় ভ‌্যানচালক রু‌বেল। প‌রে কৌশলে কুতুবপুর ইউনিয়‌নের মর্তুজাপুর গ্রামের মাঠের ভেতর নিয়ে যায়। মৃত্যু নি‌শ্চিত কর‌তে রু‌বে‌লের মাথায় লাঠি দিয়ে একাধিক আঘাত করে রুবেলকে হত্যা করে সোহাগ।

হত্যার পর মাঠের একটি খেজুর বাগানের ভিতর তার মরদেহ গামছা ও ঘাস দিয়ে ঢেকে রাখে। পরে ভ্যানটি নিয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজারে বিক্রি করতে যায় সোহাগ।
সেখানে কথা বার্তায় ক্রেতা‌দের স‌ন্দেহ হ‌লে হত‌্যাকারী সোহাগ ধরা খাওয়ার ভয়ে ভ্যানটি ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল পুলিশের টিম সংবাদ পেয়ে সেখানে যায় এবং পাখিভ্যানের গায়ে লিখিত মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে গতকাল রাতে সোহাগকে আটক করে পুলিশ।

আটক সোহাগ বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। ‌তি‌নি আরও ব‌লে, পাখিভ্যানটি নেয়ার উদ্দেশ্যে একাই রুবেলকে হত্যা করে।

প‌রে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ বিষ‌য়ে সদর থানার অ‌ফিসার ইনচার্জ মাহব্বুর ব‌লেন, নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হ‌বে।