ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় সাংবাদিকদের বর্ণনা অতিরঞ্জিত মনে হয়নি : হল প্রভোস্ট

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, নির্যাতনের ঘটনায় আমার কাছে সাংবাদিকদের কোন নিউজকে কখনও ফেইক মনে হয়নি। যা ঘটতেছে তাই আপনারা লিখেছেন। আমার কাছে কখনও মনে হয়নি যে আপনারা অতিরিক্ত বা অতিরঞ্জিত করেছেন।

সোমবার ( ২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পাঁচটায় নির্যাতনের ঘটনায় হল প্রশাসন গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে পর্যালোচনা শেষে সিদ্ধান্ত জানাতে প্রেস বিফিং এ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নোত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের সহযোগিতা করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আমাদের লক্ষ্য থাকে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা যায়, আমরা সেই কামনা ও চেষ্টা করি।

এদিকে হল প্রশাসনের এক জরুরি সভা শেষে সোমবার অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীর আবাসিকতা বাতিল করেছে হল কর্তৃপক্ষ। বেলা চারটার দিকে হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

আবাসিকতা বাতিলকৃত পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মুয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী। অন্তরা বাদে সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রেস বিফিং এ নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে ড. শামসুল আলম বলেন, আমাদের তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আমরা পাঁচজনের বিষয়ে সত্যতা পেয়েছি। তাই ওই পাঁচজনকে আবাসিকতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

যে মোবাইলটি দিয়ে ভিডিও ধারন করা হয়েছে। তা হারিয়ে গেছে বলে দাবি করছেন অভিযুক্ত হালিমা খাতুন উর্মি। মোবাইলটি উদ্ধারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের তদন্ত কমিটি মনে করে পুলিশ বা প্রক্টরিয়াল বডি যদি মোবাইলটি উদ্ধার করে, তাহলে সেই মোবাইলে ভিডিও ক্লিপসহ আরো তথ্য পাওয়া যাবে।

সিসিটিভি ফুটেজ না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সিসিটিভির হার্ডডিস্ক রিকভার করে ফুটেজ জদ্ধ করার জন্য আমরা প্রশাসন ও হাইকোর্টের তদন্ত কমিটিকে চিঠি পাঠিয়েছি।

আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সাম্প্রতিক ঘটনায় ভয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ভয় কাটানোর ব্যাপারে আমরা এখনও আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করিনি। তবে আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি যেন ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।