জনশুমারি ও গৃহগণনার সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান করেন-এমপি রবি

“সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো
০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি জনশুমারিতে সঠিক তথ্য দিয়ে, দেশের পরিকল্পিত উন্নয়নে অংশ নেওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যা কমছে না বাড়ছে সে সম্পর্কে সুষ্ঠু ও প্রকৃত ধারণা পেতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর জনশুমারি করা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। করোনাভাইরাস মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে কয়েক দফা পেছানোর পর অবশেষে শুরু
হয়েছে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২। এটি দেশের ষষ্ঠ জনশুমারি। সপ্তাহব্যাপী এ শুমারি ১৫ জুন থেকে চলবে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত। এবারই প্রথমবারের মতো
ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ। যার আগের নাম ছিল আদমশুমারি। ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ পাস হওয়ার পর আদমশুমারিকে ‘জনশুমারি’ নামে অভিহিত করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে শহরের মুনজিতপুরস্থ মীর মহলে জনশুমারি ও গৃহগণনার দ্বিতীয় দিনে প্রকল্পের
কাজে নিয়োজিত সাতক্ষীরা সদর পরিসংখ্যান অফিসের জোনাল অফিসার মো. হাফিজুর রহমানের নিকট তথ্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবশেষ জনশুমারি হয়েছিল ২০১১ সালে। সেই হিসেবে ২০২১ সালে পরবর্তী শুমারি হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় এ বছর ১৫
জুন থেকে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’। সপ্তাহব্যাপী ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ চলবে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যূরো (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়াও এই জনশুমারির মাধ্যমে কোন দেশের জন্ম-মৃত্যুর হার সম্পর্কেও জানা যায়। জানা যায় সেবামূলক বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন শিক্ষা, চিকিৎসা, বেকার, শিক্ষিত, অশিক্ষিতসহ আরও নানা তথ্যাদি। এমনকি কোন নির্দিষ্ট শহর বা
গ্রামের জনসংখ্যাও জানা যায় এর মাধ্যমে এবং ভোটার তালিকা তৈরির কাজেও জনশুমারি ভূমিকা রাখে।

এসময় এমপি রবি তার নির্বাচনী এলাকার জনগণসহ সকলকে তথ্য সংগ্রহকারীদের দেশের স্বার্থে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহবান জানান। জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর তথ্য প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন
সাতক্ষীরা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক মো. বছির উদ্দীন, সদর উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার আবু তালেব, সুপারভাইজার শেখ ফয়সাল ইসলাম ও তথ্য সহকারি এস.এম রায়হান কবির প্রমুখ।