টাইগারদের বোলিং তোপে দিশেহারা লঙ্কানরা

সিংহের গর্জনে শুরু হয়েছিল এশিয়া কাপের উত্তাপ। উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ শুরু করেছিল লঙ্কান সিংহরা। কিন্তু প্রথমে লঙ্কান বোলারদের কৃতিত্ব ম্লান করেছেন মুশফিকুর রহীম, মোহাম্মদ মিথুন ও তামিম ইকবালরা। এরপর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাঘদের দাপট চলছেই। ২৬২ রানের লক্ষ্যে নামা শ্রীলঙ্কার ৬৯ রানেই ৭ উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগার বোলাররা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় লঙ্কানদের স্কোর ২২ ওভার শেষে ৮৪/৭।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেটে এসেই ঝড় তুলেছিলেন ওপেনার উপুল থারাঙ্গা। চার-ছক্কার টি-টুয়েন্টি শুরু করলেন যেন। কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে তার উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২২ রান। যে ২২ রানই থারাঙ্গার।

দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে কুশল মেন্ডিসকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মোস্তাফিজ। কোনো রানই যোগ করতে পারেননি তিনি। ২২ রানে পড়ে লঙ্কানদের প্রথম উইকেট।

পরের ওভারে ঝড় তোলা থারাঙ্গাকে বোল্ড করেন মাশরাফী। ২৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে দলটির। পরের ওভারে বল করতে এসে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফী। ২৮ রানের মাথায় শ্রীলঙ্কা হারায় তাদের তৃতীয় উইকেট।

এরপর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও কুশল পেরেরা ৬ রানের জুটি ভাঙ্গেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কুশল পেরেরাকে এলবিডব্লিউ করেন এই স্পিনার। তাতে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ টাইগারদের হাতে চলে আসে।

এরপর দাসুন সানাকাকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। একবার মিরাজের বলে যার ক্যাচ ছাড়লেন অপু। ৬০ রানে শ্রীলঙ্কা হারায় তাদের পঞ্চম উইকেট।

এরপর তিন রানের ব্যবধানে ম্যাথুজকে এলবিডব্লিউ বানান রুবেল হোসেন। থিসারা পেরেরা হন মিরাজের শিকার। তাতে ৬৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা শ্রীলঙ্কা।

এর আগে মুশফিকের ১৪৪ ও মিথুনের ৬৩ রানে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ। যেখানে আছে আহত অবসরের পরও হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে তামিমের ব্যাট করতে নেমে যাওয়ার বিরোচিত গল্প।