টোকিওতে জাইকা পরিচালিত জিওসিভি’র ৫০ বছর উদ্‌যাপন

বাংলাদেশে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) পরিচালিত জাপান ওভারসিস কো-অপারেশন ভলান্টিয়ার প্রোগ্রাম (জেওসিভি) এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গতকাল টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ইয়োশিকাওয়া ইউমি, জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাতসুরা ও মহাপরিচালক তাচিবানা হিদেহারু। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ইআরডি সচিব শরিফা খান স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি জেওসিভি এর ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাইকাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, জাপান এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়ো উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে জাপানের প্রতিশ্রুত উন্নয়ন সহায়তার পরিমান ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে জেওসিভি প্রোগ্রাম স্থগিত হয়ে গেলেও এ মাসেই তা আবার চালু হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এর জন্য তিনি জাপান সরকার ও জাপানের জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ইয়োশিকাওয়া ইউমি বলেন, জাপান সরকারের পক্ষ থেকে জেওসিভি প্রোগ্রাম চালু করার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। তিনি বাংলাদেশকে জাপানের বিশেষ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটবে ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাতসুরা জেওসিভি শুরুর পেছনে জাপান ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে জাইকার ভলান্টিয়ার প্রোগ্রাম আরো সম্প্রসারিত হবে।

এর আগে জাইকার মহাপরিচালক তাচিবানা হিদেহারু জেওসিভির কার্যক্রম সম্পর্কে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জেওসিভির সাবেক ও বর্তমান ভলান্টিয়াররা উপস্থিত ছিলেন।