ঠাকুরগাঁওয়ে কম্বল নিয়ে শীতার্তদের পাশে ইউএনও সামসুজ্জামান

উত্তর জনপদে হঠাৎ জেঁকে বসেছে শীত। এতে কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষের। অগ্রহায়ণে শুরু হয়েছে কনকনে শীত। রাতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে নেই। গরম কাপড় জড়িয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন সামর্থবানরা।

কিন্তু চরম বিপাকে পড়েছে ভবঘুরে, আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী, বেদে সম্প্রদায়, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ। শীতের তীব্রতায় রীতিমতো কাঁপছে তারা। ফলে এসব অসহায় মানুষের কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিতে অক্লান্তভাবে কাজ করতেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (১ই ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ফাড়াবাড়ী আ: রশীদ ডিগ্রী কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচীর আওতায় শীতবস্ত্র হিসেবে ২০০ হতদরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন তিনি।

শীতের শুরুতেই ইউএনওর এ মহৎ কাজের ভুয়সী প্রশংসা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণ।

এদিকে কম্বল পেয়ে অসহায় শীতার্ত মানুষগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে। তারা বলেন, কনকনে শীতে তাদের জীবন-যাপন বড় কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতকে উপেক্ষা করে ইউএনও তাদের হাতে কম্বল তুলে দেয়ায় তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন অনেকে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান বলেন, এই শীতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো। এ শ্রেণীর মানুষগুলো এমনিতেই অসহায়ভাবে জীবন-যাপন করে থাকে। গত কয়েক দিন ধরে সারাদেশে বইছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ-ব্যাধি। যাদের শীত নিবারনের ব্যবস্থা নেই। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার শীতার্তদের জন্য কম্বল সবার আগে এদের মাঝে বিতরণ করেছি।

পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনও অসহায় শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, করবে। এরই ধারাবাহিকতায় রাতে নিজে কিছু অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের হাতে কম্বল তুলে দিয়েছি। নিজ হাতে অসহায় মানুষগুলোকে কম্বল দিতে পেরে তারও খুব ভালো লাগছে বলে জানান ইউএনও। এ কম্বল বিতরণ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলেও উল্লেখ্য করে তিনি সমাজের বৃত্তবানদেরকে এসকল অসহায় শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

এসময় কম্বল বিতরণে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন, ঠাকুরগাঁও অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি বিধান চন্দ্র দাস, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হরিপ্রসাদ বর্মণসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।