ডা. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসাইন চৌধুরী’র কবিতা

বেহায়া কাব্য
ডা. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসাইন চৌধুরী


আমি শুক্রাণু পেরিয়েছি জীবনের প্রথম ধাপ,
লক্ষ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে দেখিয়েছি প্রতাপ।

আমার জন্ম বিধাতার অমূল্য উপহার,
আমি খোকা মানিক রতন আমার মা বাবার।

শৈশব কৈশোর পেরিয়ে আমি এখন তাগদা যুবক,
জীবন গঠনে কতো যতনে নিয়েছি হাজার সবক।

পৃথিবী দেখেছি চিনেছি গ্রহ উপগ্রহ কিবা নেপচুন,
রক্ত চক্ষুতে পৃষ্ঠ হয়েছি, বারংবার হয়েছি খুন।

আবার উঠেছি জেগে ছেড়ে ক্ষত সব, ছুটছি নিরন্তর,
আজন্ম ছুটে চলা জানি না কেন তবু ছুটছি তেপান্তর।

গন্তব্য নেইতো জানা তবু মেলে দিয়ে ডানা ছুটে চলা অবিরাম,
কিছুই নয়তো আমার পড়ে রবে ক্ষেত রবে যে খামার, নিঃশেষ করছি ঘাম।

গত হয়েছে অতীতেরা সব, আমিও হবো গত
শিল্পের বড়াই ক্ষমতার লড়াই দেখাবো আর কত?

পৃথিবীর বিষবাষ্পে আমি আজ অমানুষ,
অভিশপ্ত এই আমি নই অনুতপ্ত আমার কাজে!
আমার হাতে ধর্ষিত হয় আমার মেয়ে, কলংকিত এই দেহ সগৌরবে পুরুষ সাজে!!

আমি লুন্ঠন করে জনতার অধিকার, জনতার মঞ্চে পাঠ করি বেহায়া কাব্য!
আমার নেই লজ্জা গোবর ভরা মজ্জায়,
দাঁত কেলিয়ে পঠিত কথামালা সবই অশ্রাব্য!!

জন্ম জন্মান্তরে ঠায় দাঁড়িয়ে ঐ আকাশ,
বদলায়নি তার রূপ ঝরে পড়ে জলধারা।
এখনো সূর্য উঠে নিয়ম করে চন্দ্রেরও হয়নি ক্ষয়,
আবার খসে পড়েনি কোন তারা!

অথচ আদম থেকে আমি সস্তা কিংবা দামী,
চলে গেছে কত সোনামুখ জানেন অন্তর্যামী।