তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে প্রস্তুত চীন

আফগানিস্তান এখন তালেবানের দখলে। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ এখন তাদের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। এমন সময়ে প্রতিবেশী দেশ চীন বলেছে, তারা তালেবানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ স্থাপনের জন্য তৈরি। সূত্র: আল জাজিরা।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আফগান জনগণের স্বাধীনভাবে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করার বিষয়টিতে চীন সম্মান করে। আফগানিস্তানের সঙ্গে চীন বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রক্ষা করতে প্রস্তুত।’

এদিকে যুক্তরাজ্য বলছে, ‘তালেবানের ক্ষমতা দখল হচ্ছে বিশ্ববাসীর ব্যর্থতা। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালাস বলেছেন, ‘তালেবানের ক্ষমতা দখ বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য বর্থতা। আফগানিস্তানে পশ্চিমাদের কাজ অর্ধেক সমাপ্ত হয়েছিল। আমরা সবাই জানি আফগানিস্তান শেষ হয়ে যায়নি। এটি বিশ্ববাসীর জন্য অসমাপ্ত একটি সমস্যা। আর এই সমস্যা সমাধানে বিশ্ববাসীর সাহায্য প্রয়োজন।’

কাবুল দখলে নেয়ার পর সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ শুরু করেছে তালেবান যোদ্ধারা। তালেবান নেতারা বলছেন, নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এখন আর সাধারণ মানুষের কাছে অস্ত্র থাকার প্রয়োজন নেই।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তালেবান কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘আমরা বুঝছি যে, মানুষ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র রেখেছিল। তারা এখন নিরাপদ বোধ করতে পারে। আমরা নিষ্পাপ সাধারণ মানুষের ক্ষতি করতে এখানে আসিনি।’

সাদ মোহসেনি নামের এক ব্যক্তি কাবুলে বাস করেন। তিনি মোবি গ্রুপ মিডিয়া কোম্পানির ডিরেক্টর। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘তালেবান সৈন্যরা আমাদের কোম্পানি কম্পাউন্ডে এসেছিল। এখানে অস্ত্র রাখা আছে কিনা তা তারা পরীক্ষা করে দেখেছে।’

আফগানিস্তান এখন তালেবানের দখলে। গতকালই (সোমবার) আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছাড়েন। তালেবান প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখল করে নিয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের দায়িত্ব নেয়া এখন তালেবানের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।

আফগানিস্তান থেকে বিদেশি কর্মকর্তা এবং নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বহু আফগান নাগরিক বিমানে করে আফগানিস্তান ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।