দাফনের ৭ মাস পর কবর থেকে বালু ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন

নেত্রকোনার আটপাড়ায় কোর্টের নির্দেশে ড্রেজারের বালু ব্যবসায়ী ইমরুল ইসলামের (৫০) রহস্যজনক মৃত্যুর ৭ মাস ২৫দিন পর মঙ্গলবার কবর থেকে লাশ উত্তোলন করেন প্রশাসন। এ সময় আটপাড়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া, মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম, দুওজ ইউপি চেয়ারম্যান আঃ সেলিম মনিরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।ইমরুল ইসলাম আটপাড়া উপজেলার দুওজ ইউনিয়নের ইকরাটিয়া গ্রামের সামছুল ইসলামের ছেলে। নিহত ইমরুলের ছেলের দায়ের করা এক হত্যা মামলার ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

জানা যায়, ইমরুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী মদন উপজেলার জাওলা গ্রামের রহিছ উদ্দিনের ছেলে হারেছ ও হাবিবুরের সাথে যৌথ ভাবে বালুর ব্যবসা করার সময় লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। ইমরুল এ দ্বন্দ নিরসনের জন্য ৪ ফেব্রæয়ারি ২০২১ইং সকালে হারেছ ও তার ভাগিনা আলামিনের সাথে দেখা করার জন্য জাওলা গ্রামের সামনে মরা নদীর পাড়ে যায়। পরে ইমরুল অসুন্থ হয়ে বাড়িতে পৌছেই মারা যায় এবং তার লাশ কবরস্থ করা হয়। কিছু দিন পর তার মৃত্যুর রহস্য নিয়ে নানা কথা ছড়ালে নিহতের ছেলে মনিরুল ইসলাম মান্না নেত্রকোনা কোর্টে ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে ৭ মাস ২৫ দিন পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া কোর্টের নির্দেশে কবরস্থান থেকে ইমরুলের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে প্রেরণ করেন।

মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, ইমরুলের লাশ ৭ মাস ২৫ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া বলেন, কোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার ইমরুলের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে প্রেরণ করা হয়ছে।