দাম বাড়লো ভোজ্যতেলের, তবু যেনো মিলছে না বাজারে

লিটারে ৪৪ টাকা দাম বাড়ানোর পরও ভোজ্যতেল শূন্য দেশের বাজার। তাই ক্রেতাদের অভিযোগ, ভোক্তাদের স্বার্থ দেখার কেউ নেই।

বৃহস্পতিবার (৫) আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এবার সর্বোচ্চ প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করল সরকার। এ ছাড়া পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯৮৫ টাকা এবং পাম ‍সুপার তেলের দাম ১৭২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। যা শুক্রবার (৬ মে) থেকে কার্যকর করা হয়।

এরপরও বাজারে সয়াবিন তেলের দেখা নেই। সরবরাহ সংকট যেন কাটছেই না।

বিক্রেতারা জানান, ডিলার পর্যায় থেকে কোনো আশ্বাস পাচ্ছেন না তারা। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বড় বড় কোম্পানিকে বিপুল মুনাফার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ করে বিক্রেতারা জানান, ডিলাররা তেল আনলেই তো আমরা পাব। ডিলাররা বলেন, কোম্পানি এখনও দিচ্ছে না। রোব বা সোমবার আসতে পারে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। সরকার জানে কোম্পানি তেল দিচ্ছে না।

আরেকজন তেল বিক্রেতা বলেন, সরকার একপক্ষকে কোটি কোটি টাকা মুনাফার সুযোগ করে দিচ্ছে। সরকার তাদের কিছু বলছে না। আমাদের মতো সাধারণ ব্যবসায়ীরা সামান্য কিছু পুঁজি বিনিয়োগ করে জীবন যাপন করছে।

অপরদিকে ডিলাররা জানান, ‍শুক্রবার মিলগুলোর অফিস বন্ধ থাকায়, রোববার (৮ মে) থেকে নতুন দামে বিক্রি শুরু হলে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।

তবে ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে বড় ব্যবসায়ীদের স্বার্থই রক্ষা হচ্ছে।

বাজারে এসে আয়-ব্যয়ের সমীকরণ মিলাতে ব্যর্থ একজন ক্রেতা বলেন, আমাদের যেহেতু তেল খেতে হবে, তাই দাম যাই থাকুক না কেন কিনতে হচ্ছেই। যা আয় করছি তার সবটুকুই বাজারে করে শেষ হয়ে যায়। যেখানে এক কেজি করে কিনতাম, এখন আমাদের ২৫০ গ্রাম করে কিনতে হচ্ছে। এখন ফুটপাতের দোকান থেকে পণ্য কিনতে হচ্ছে কারণ অন্য দোকানে যাওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই।