দিনাজপুরে গণধর্ষণের ঘটনার নিন্দা ,আসামি গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে স্বারক লিপি প্রদান

দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার হেলিপোর্ট গুচ্ছগ্রাম এলাকার মোঃ রবিউল এর কন্যা গণধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ,আসামি গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে স্বারক লিপি প্রদান । বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা আজ সকালে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কনফারেন্স রুমে পুলিশ সুপার সাহা ইফতেখার আহমেদ এর হাতে স্বারক লিপি প্রদান
করেন ।

এ সময় জেলা মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মিনতি ঘোষ, সহ-সভাপতি গৌরী চক্রবর্তী, আন্দোলন সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রুবি আফরোজ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি কানিজ রহমানের স্বাক্ষরিত স্বারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার হেলিপট গুচ্ছগ্রাম এলাকার মোঃ রবিউলের কন্যা গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর
জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ খবর পেয়ে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তদন্তে যান সেখানে মেয়ের পরিবার জানান ,

তাদের মেয়ের সাথে পঞ্চগড় জেলার মাগুরা উপজেলার ওসমান আলীর পুত্র মোসাদ্দেক ইসলামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে সন্ধ্যায় মোসাদ্দেক ইসলাম ও মেয়েটি ঘুঘুরাতলীতে বটগাছের নিচে অটো রিক্সার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে ।

এ সময় চিরবন্ধনের প্রভাবশালী নেতা আলিম সরকারের ছেলে নুর আলম ও তার ড্রাইভার এর সহযোগিতায় মোসাদ্দেক ইসলাম ও মেয়েটিকে জোরপূর্বক নির্মাণাধীন একটি বিল্ডিং এ নিয়ে যায় এবং সেখানে নিয়ে গিয়ে মারধর করার একপর্যায়ে মেয়েটির অশ্লীল চেষ্টা করে মেয়েটি প্রতিবাদ জানালে নিমানাধিন বিল্ডিং এর দোতল ভবন থেকে তাকে নিচে ধান ক্ষেতে ফেলে দেয় এ অবস্থায় নিচে গিয়ে পাঁচজন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে ।

এ বিষয়ে মেয়েটির পরিবার মামলা করতে চাইলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় নুর আলমের নাম বাদ দিলে তবেই মামলা গ্রহণ করবে ।

স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ থাকে মহিলা পরিষদ মেয়েটি ও মেয়েটির পরিবারের সাথে কথা বলে আরও জানতে পারেন নুর আলম ও তার ড্রাইভার মুবিনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পান । মহিলা পরিষদ এই ধরনের ন্যাকার জন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান ।