ধূমপান ও মাদকের চেয়েও ভয়ঙ্কর ফেসবুকে আসক্তি : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ধূমপান ও মাদকের চেয়েও ভয়ঙ্কর হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আসক্তি।’

বুধবার (১৬ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষিত তরুণরা যেভাবে মাদকাসক্ত হচ্ছেন তা থেকে মুক্তি পেতে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। সন্তানকে মাদক ও ধূমপানমুক্ত রাখতে পারিবারিকভাবে সচেতনতার ওপর জোর দেন তিনি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে, সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে হলে, ধূমপানমুক্ত সমাজ গড়া প্রয়োজন। ধূমপান এবং মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। একজন ধূমপায়ী ধীরে ধীরে নিজেকে ধ্বংস করে, কিন্তু একজন মাদকাসক্ত পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ধূমপান ও মাদকের চেয়েও এখন ভয়ঙ্কর হচ্ছে ফেসবুকে আসক্তি। এর থেকে রক্ষা পেতে পারিবারিক শিক্ষা প্রয়োজন। এজন্য বাবা-মাকে সন্তানদের সময় দিতে হবে।’

তামাকবিরোধী সংগঠন ‘ভয়েজ’ ও ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ধূমপান আনুপাতিক হারে কমেছে। যেটা আগে ৭০ শতাংশ ছিল, সেটা এখন ৩৫ শতাংশ। ধূমপানরোধে সরকারও আইন করেছে। এর মধ্যে আছে প্রকাশ্যে ধূমপান করা যাবে না। আইন ও সামাজিক বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের কারণে এমন প্রবণতা অনেক কমেছে।’

‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সাল নাগাদ দেশকে ধূমপানমুক্ত করার জন্য আমি মনে করি এ আন্দোলন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আইনের সংস্কার করা প্রয়োজন হলে সেটিও আমাদের ভাবতে হবে।’

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘বিত্ত যখন রাষ্ট্রকে চোখ রাঙায় বা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায় তখন সেই বিত্ত দুর্বৃত্ত হয়ে যায়।’

ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট মাশহুদুর রহমানের সভাপতিত্বে ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব ও সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াসিন, তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় প্রধান এপিডেমিওলোজি অ্যান্ড রিসার্চ অধ্যাপক ড. সোহেল রেজা চৌধুরী, জায়েদ সিদ্দিকী, প্রজ্ঞার হেড অব টোব্যাকো কন্ট্রোল হাসান শাহরিয়ার, আব্দুস সালাম মিয়া, আতাউর রহমান, সাদিয়া রহমান প্রমুখ।