সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে সবার আগে দ্বিতীয় রাউন্ডে ইতালি

সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে সবার আগে দ্বিতীয় রাউন্ডে ইতালি।

উদ্বোধনী ম্যাচে তুরস্ককে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছিল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত। অপেক্ষায় থাকতে চাইলো না রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই সুইজারল্যান্ডকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করে ফেলল আজ্জুরিরা।

২ ম্যাচ শেষে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট ইতালির। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গ্যারেথ বেলের দেশ ওয়েলস। ১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড।

জোড়া গোল করেছেন ম্যানুয়েল লোকেতেল্লি এবং অন্য গোলটি এসে সিরো ইমোবিলের পা থেকে। টুর্নামেন্টে এ নিয়ে ২টি করে গোল হলো বেশ কয়েকজনের। এর মধ্যে ইতালিরই দুইজন। ইমোবিলে এবং লোকেতেল্লি। এ তালিকায় রয়েছেন রোনালদো এবং রোমেলু লুকাকুও।

বুধবার রাতে রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সুইসদের মুখোমুখি হয় রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা। টানা ৯ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড নিয়ে এই ম্যাচ খেলতে নেমে ১০ম জয় তুলে নিলো তারা। সবচেয়ে বড় কথা গত নভেম্বরের পর থেকে কোনো গোলই হজম করেনি তারা। আরেকটি তথ্য হলো, সর্বশেষ ২৮ ম্যাচে হারেনি আজ্জুরিরা। সর্বশেষ তারা উয়েফা নেশন্স কাচে ১-০ গোলে হেরেছিল পর্তুগালের কাছে।

প্রথম থেকেই অসাধারণ, চোখজুড়ানো ফুটবল উপহার দিচ্ছিল ইতালি। ২০ মিনিটেই ইতালি এগিয়ে যেতে পারতো। এ সময় গোল করেন জিওর্জিও চিয়েল্লিনি। কিন্তু ভিএআর চেক করে দেখা গেলো বলটি ছিল হ্যান্ডবল।

কিন্তু তাতেও ইতালিকে দমিয়ে রাখা যায়নি এবং গোল আদায় করতেও সময় লাগেনি। ডোমেনিকো বেরার্দি বাম পাশ থেকে বল পাস দেন লোকেতেল্লিকে। ডি বক্সের মধ্যে খুব কঠিন বাধার সম্মুখিন হন। কিন্তু তাকে থামানো সম্ভব হয়নি। ডান পায়ের জোরালো শটে ভেদ করে সুইসদের জাল।

সুইসদের বেশ সংগ্রামই করতে দেখা গেছে ইতালিয়ান ডিফেন্সের সামনে। সর্বশেষ অনেকগুলো ম্যাচে গোল না খাওয়া ইতালিয়ান ডিফেন্সকে ফাঁকি দেয়া এত সহজ ছিল না তাদের কাছে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও গোল করে বসেন ম্যানুয়েল লোকাতেল্লি। মাঝ মাঠ থেকে ডি বক্সের সামনে একটি পাস রিসিভ করেন তিনি। এরপর বাম পায়ের শটে দ্বিতীয়বার সুইজারল্যান্ডের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। সে সঙ্গে ম্যাচ থেকে কার্যত বিদায় নেয় সুইসরা।

ম্যাচ শুরুর প্রথম ৬০ মিনিটে তো ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমাকে বলই রিসিভ করতে হয়নি। কিন্তু এরপরই তার পরীক্ষা নেয় সুইস স্ট্রাইকাররা। অন্তত দুটি খুব কাছ থেকে নেয়া সুইসদের শট ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।

ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট খানেক আগে (৮৯ মিনিটে) ম্যাচের শেষ কর্মটি সম্পাদন করেন সিরো ইমোবিলে। সুইসদের পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি বিদ্ধ করে দেন তিনি। রাফায়েল তোলোইয়ের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে সুইজারল্যান্ডের জালে বল জড়ান ইমোবিলে।

এ নিয়ে টানা ২৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকলো ইতালি। এছাড়া রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে অপরাজিতই থাকলো তারা। আগামী রোববার ওয়েলসের বিপক্ষে খেলতে নামবে ইতালি। একই দিন সুইজারল্যান্ড খেলবে তুরস্কের বিপক্ষে।