নবম মেধাতালিকা পরেও শিক্ষার্থী খুঁজে পাচ্ছে না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

একে একে নয়টি মেধা তালিকা দিয়েও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ আসন পূরন হয়নি। নবম মেধাতালিকা থেকে ভর্তির পরেও যেন শিক্ষার্থী ই খুঁজে পাচ্ছে না গুচ্ছভুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এবার তাৎক্ষনিক ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসন খালি থাকায় ২৯ জানুয়ারি (রোববার) নতুন করে আবারো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে থেকে জানা যায়, তিন ইউনিটে ১৫৪ টি আসন এখনও ফাঁকা। (এ ইউনিটে ১৪০,বি ইউনিটে ১৩ ও সি ইউনিটে ১টি আসন ফাঁকা)
বেশ কিছু সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী মনে করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত হয়ে নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছে। শিক্ষার্থীরা মনে করেন এখনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যাওয়া।

নতুন বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষে A, B এবং C ইউনিটে নবম মেধা তালিকা থেকে ভর্তির পর বিভিন্ন ইনস্টিটিউট/বিভাগে বিদ্যমান শূণ্য আসনসমূহ মেধাক্রমের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক ভর্তি (Spot Admission)-এর লক্ষ্যে এ ইউনিটের ৫৪৬৬ সিরিয়াল থেকে এক হাজার পর্যন্ত, বি ইউনিটে ২০৪৪ থেকে ৩ হাজার , সি ইউনিটে ৯০৩ থেকে ১১০০ পর্যন্ত সিরিয়ালে থাকা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আগামী ৩১ জানুয়ারি নির্ধারিত স্থান ও সময়সূচি অনুযায়ী (প্রাথমিক ভর্তি হয়ে থাকলে Acknowledgement Slip নিয়ে) উপস্থিত হতে বলা হচ্ছে। আসন শূণ্য থাকা সাপেক্ষে বিষয় বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগামী ৩১ জানুয়ারি দুপুর ২ টায় বিষয় বরাদ্দ তালিকা প্রকাশ করা হবে, বিকাল ৫ টা পর্যন্ত অনলাইনে মোট ভর্তি ফিস জমা দিয়ে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ডীন অফিসে সনদপত্রাদি জমা দিয়ে এবং যারা ইতোমধ্যে GST গুচ্ছের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আছে তারা অনলাইনে অবশিষ্ট ভর্তি ফিস জমা দিয়ে পূর্বে জমাকৃত ভর্তি ফিসের Acknowledgement Slip সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং ডীন অফিসে জমা দিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করবে।

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকা নিয়ে বরাবর ই বিপক্ষ অবস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তারা সর্বদাই চাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একক ভর্তি কার্যক্রমে ফিরুক। এমন পরিস্থিতির পরেও আগামী শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকবে কি না সেটা এখনো পরিস্কার করেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম লুৎফর রহমান জানান, গত ২৪ জানুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে কি না বিষয়টি উত্থাপন করা হলে পরবর্তী স্পেশাল একাডেমিক কাউন্সিল করে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড মোঃ ইমদাদুল হক।