নানা আয়োজনে ইবি সায়েন্স ক্লাবের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সায়েন্স ক্লাবের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার (১ অক্টোবর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় সংগঠনটির সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী এবং ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মিনহাজউল হক। এছাড়া সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মহসিন আলীসহ সংগঠনটির প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সংগঠনটির সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ নাইমের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাইন্স ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বছরজুড়ে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। আমরা আশা করি আগামী ছয় মাসের মধ্যে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের নিবন্ধন পাবে। এছাড়া আগামী বছরের শুরুতেই একটি সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল এর আয়োজন করা পরিকল্পনা রয়েছে। ক্লাবের অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে সকল সদস্যের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’

অতিথিদের বক্তব্যে সংগঠনটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী বলেন, ‘বর্তমান এই প্রযুক্তির যুগে আমাদের সামনে প্রতিদিন নতুন নতুন টেকনোলজি হাজির হচ্ছে। এসব টেকনোলজির পিছনে যারা কাজ করছে তারা সবাই যে টাকার জন্য কাজ করছে বিষয়টা এমন না। এসব টেকনোলজির পিছনে যারা মূল চিন্তা করছে তারা কিন্তু খুব বেশি বেনিফিটেড হয় না। তারা কিন্তু তাদের ভালো লাগার জায়গা থেকেই কাজ করে। আর কাজের প্রতি ভালো লাগা তৈরি করতে পারলেই কিন্তু সে কাজে আর কষ্ট হয় না, ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তাই তোমরা যারা এই সংগঠনের সাথে যুক্ত আছো তারা কাজের প্রতি ভালো লাগা তৈরি করতে হবে। তোমরা নতুন একটা কিছু ভাবো, নতুন নতুন টেকনোলজি দিয়ে কাজ করো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি সায়েন্স ক্লাব ভবিষ্যতে আরো ভালো অবস্থানে যাবে। সামনের দিনে এর পথ চলা আরো সহজ হোক। লুক ফরওয়ার্ড মনোভাব নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে। ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে দেশ ও বিশ্বের দরবারে সবার কাছে পৌঁছে যাবে। তোমাদের দ্বারা বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কল্যাণ হবে এটাই প্রত্যাশা।’

এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে সংগঠনটির ভবিষ্যৎ পথচলার পাথেয় হিসেবে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

আলোচনা সভা শেষে সেখানে সংগঠনটি বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিতব্য ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ উন্মোচন করা হয় এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ভবন সংলগ্ন এলাকায় একটি কাঠগোলাপ এবং একটি বটের চারা রোপন করেন তারা। এর আগে কর্মসূচির শুরুতে ডায়নাচত্বরে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠার এই এক বছরের পথচলার উপর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারিও প্রদর্শন করা হয়।