নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে মাইক্রোবাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫
নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মো. জামাল হোসেন (৪০) নামে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহত বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জামাল হোসেন। পেশায় তিনি নরসুন্দর ছিলেন।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর সেতুর ঢাকামুখী লেনে মাইক্রোবাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কাঁচপুরে অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে আহত চারজনকে ঢাকা মেডিকেলের নিয়ে আসা হলে প্রথমে তিনজন মারা যান। পরে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন জামাল নামে আরও একজন মারা যান। তাদের মরদেহ মর্গে রাখা আছে।
নিহত জামালের ভাই জানান, তার ভাই পেশায় নরসুন্দর ছিলেন। আজ সকালে কাঁচপুরের বাসা থেকে অটোরিকশায় নিজের দোকানে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে মারা যান।
নিহত অন্য চারজন হলেন, কাঁচপুর এলাকার শামসুদ্দিন খন্দকারের ছেলে নুরউদ্দিন (৪৫), অটোরিকশার যাত্রী মো. হানিফ (৩০), মো. মামুন (৩১) ও নাম না জানা এক পোশাকশ্রমিক (৩৬)।
নিহত মামুনের ছোট ভাই সুমন বলেন, আমার ভাই আদমজী ইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আজ কাজ শেষে সিএনজিতে আমার বাসায় আসার পথে দুর্ঘটনায় মারা যান।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠিতে। বাবার নাম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। বর্তমানে আদমজী এলাকাতেই থাকতেন। তার এক ছেলে রয়েছে।
নিহত হানিফের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। বাবার নাম বিল্লাল হোসেন। থাকতেন যাত্রাবাড়ীতে। তার এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে একজন মারা যান। চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চারজনই মারা যান।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন জানান, আজ সকালের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ব্রিজের ঢাকামুখী লেনে একটি অটোরিকশা উল্টোপথে যাচ্ছিল। এ সময় ঢাকামুখী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। অটোরিকশার এক যাত্রী মদনপুরের দি-বারাকা হাসপাতালে মারা যান। বাকি চার জন ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন