নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আগুন ও ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা পরির্দশনে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী
নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে ভোট দেয়ায় সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীসহ নিরীহ মানুষের বাড়িঘরে হামলা ও গুলি বর্ষণসহ তান্ডব চালিয়েছে। এসব হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আর আইনের আওতায় আনা না হলে আরো বড় ধরনের ঘটনা ঘটাবে সন্ত্রাসীরা।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামের সন্ত্রাসীদের দেয়া আগুন ও ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা পরিদর্শনে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রশাসন শক্ত ভূমিকায় থাকলে এত বড় সহিংস ঘটনা ঘটতো না। সন্ত্রাসীরা দীর্ঘ ৪ ঘন্টা সময় ধরে এ তান্ডব চালায় কিভাবে? তারা ঢাকা থেকে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী এনে এ ধরনের ঘটনা একটার পর একটা ঘটাচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এমনকি হামলাকারীরা ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ডুকতে দেয়নি। যারা যারা এ ধরনের অপরাধ করেছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় আওয়ামীলীগকে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানাবো। তারা গুলি চালিয়ে এ তান্ডব চালায়। আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযুক্ত রফিক, সফিক ও মিজানসহ হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনবেন। তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে এখানে আরো বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি প্রশাসনকে আহবান জানাবো দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে এই এলাকাবাসীকে শান্তিতে বসবাস করতে দিন।
এসময় পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ্য প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন।
পরিদর্শনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ নুসরাত, সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) আবির হোসেন, কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা আনছর আলী, ভুলতা ইউপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আরিফুল হক ভুইয়াসহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় নাওড়া এলাকায় গত ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত ৮টায় আওয়ামীলীগের দুই নেতার বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। ২/৩’শ সদস্যের একদল সন্ত্রাসী রাম দা, ছুরি, বল্লম, চাইনিজ কুড়াল, শর্টগান, আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এ হামলা চালায়। সংঘর্ষে ২জন গুলিবিদ্ধ ও ২০ জন আহত হয়। সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেনের ৫টি বসতঘর, ৪টি মোটরসাইকেল, ১টি প্রাইভেটকার ও কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের কার্যালয় ভস্মীভূত হয়।
এ ঘটনায় নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জসুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন