নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ হওয়ায় ক্ষিপ্ত কিশোরী!

পাবনার চাটমোর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের দিঘুলিয়া গ্রামে শেফালী খাতুন নামে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীর বিয়ের দিন ঠিক ছিল শুক্রবার।

সেই মোতাবেক বিয়েবাড়িতে বরযাত্রীসহ হাজির হন বর একই উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের দড়িপাড়া গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে আবু তালেব (১৯)।

এদিকে বাল্যবিয়ের খবর শুনে সেই বিয়েবাড়িতে হাজির হন শরৎগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মহাইমেনুল হক, ইউপি সদস্য সবুজ আলীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বরসহ সব বরযাত্রী পালিয়ে যান।

শেফালী ওই গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফার মেয়ে ও স্থানীয় পবাখালী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

এ সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজন বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে ওই কিশোরীর পরিবারকে বোঝানোর সময় চটে যান শেফালী খাতুন। ক্ষিপ্ত হয়ে উপস্থিত সবার উদ্দেশে ওই কিশোরী বলে, ‘আমার ইচ্ছাতেই এই বিয়ে হচ্ছিল। আপনারা আমার বিয়ে বন্ধ করার কে? আপনারা কয় দিন বিয়ে বন্ধ করে রাখবেন? আমি তাকেই (আবু তালেব) বিয়ে করব।’

কিশোরীর এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ কথা শুনে উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে যান। পরে বাল্যবিয়ে বন্ধ হলেও বিষয়টি এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য মো. সবুজ হোসেন বলেন, ‘এর আগেও বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছি। কিন্তু এই প্রথম এমন পরিস্থিতির শিকার হলাম।’