নেত্রকোণার মদনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইট ভাটা

নেত্রকোণার মদনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ২ টি ইট ভাটা।মনে হয় দেখার না কেউ।

উপজেলার কাইটাইল বাজারের উত্তর পাশ ঘেঁষেই রয়েছে মেসার্স দেওয়ান আকীক ব্রিক্স ও বাজারের দক্ষিণ পাশ ঘেঁষেই রয়েছে আব্দুল ওয়াহেদ ব্রিক্স। আবার ইট ভাটা দুটির পশ্চিম পাশে রয়েছে শত বছরেরও বেশি পুরোনো কাইটাইল ও আখাশ্রী গ্রাম।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সরজমিনে গেলে দেখা যায়, সকল নিয়মকে তোয়াক্কা করে বাররী গ্রামের আব্দুল হামিদের ফসলি জমি থেকে গভীর গর্ত করে আব্দুল ওয়াহেদ ব্রিক্স’র ইট তৈরীর জন্য অনবরত আনা হচ্ছে মাটি।এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

মেসার্স আকীক ব্রিক্স’র সহকারী ম্যানেজার আলী হায়দার জানান, দুটি ইট ভাটার পাশেই গ্রাম ও বাজার থাকায়, ২০২২ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। আটকে আছে দুটোরই ছাড়পত্র। তবে, ম্যানেজার আমার চাইতে ভালো জানে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই কিভাবে ইট ভাটা পরিচালনা করছেন? তা জানতে চাওয়া হলে, ম্যানেজার আব্দুল ওয়াহাব জানান, এ সব বিষয়ে ইউএনও স্যারের সাথে কথা হয়েছে। আপনারা ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেন।

আব্দুল ওয়াহেদ ব্রিক্স’র মালিক আব্দুল ওয়াহেদ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আমার আছে। আমার ইট ভাটা গ্রামের কাছে হওয়ায়, পরিবেশ অধিদপ্তর আমার নামে অহেতুক মামলা করেছে,।ফসলি ক্ষেত হতে মাটি কিভাবে আনছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেক্ষুর মালিক তা বলতে পারবে। আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, কয়েকটি ইট ভাটার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা রয়েছে। তারপরও যদি কেউ অভিযোগ করে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।