পঞ্চগড়ের জলপাই যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে

দেশে জনগোষ্ঠী বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে নানা চাহিদা। বেড়ে যাচ্ছে সব ধরনের কাঁচা পন্যেরও।

পঞ্চগড়ে এক সময় জলপাই সাধারনত যতুটুক দরকার সেটুকু পূরন করে পাড়া প্রতিবেশী বা স্বজনেরা গাছের জলপাই পেড়ে নিয়ে নিজের প্রয়োজনে আচার তৈরী করতো।

কেউ জলপাই নষ্ট করবে বা কাউকে বিনা প্রয়োজনে দিয়ে দিবে তেমনটি এখন আর নেই। এখন জলপাই গাছে জলপাই হলেই তা যত্ন সহকারে দেখেভাল রাখা হয়। কারণ দূরদুরান্তের ব্যবাসায়ীরা বাজারে এসে জলপাই কিনছে।

অপরদিকে ফরিয়া ব্যবসায়ীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে গাছ চুক্তি নিয়ে জলপাই কিনছেন। আর সেই সব জলাপাই কিনছেন মোকামে পাঠানো ব্যবসায়ীরা। গত ৬ ডিসেম্বর ২০২০ রবিবার পঞ্চগড় জেলাধীন দেবীগঞ্জ উপজেলায় জমাজমি কাজের জন্য সেটেলমেন্ট অফিসে রওনার প্রতিমুহুর্তে দেখা মিলে জলপাই কেনাবেচার হিড়িক অন্যদিকে পঞ্চগড় শহরের রৌশনাবাগ, কামাতপাড়াতেও জলপাইয়ের হিড়িক জমিয়েছেন পাইকারেরা।

এতে দেবীগঞ্জ উপজেলার জলপাই ব্যবসায়ী তরিকুলসহ পঞ্চগড়ের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এসব জলপাই ঢাকা, খুলনা, কুষ্টিয়া, যশোহর সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়।

তারা বলেন, আমরা মোকামে পাঠাই। যদি কেউ খাওয়া বা আচার করার জন্য নিতে চায় তাদের কাছেও খুচরা বিক্রি করি। তবে বেশির ভাগ জলপাই আচার কোম্পানীর লোকজন কিনে নেয়। তবে এবারে গাছে ফলন কম হয়েছে বলে তারা জানান। বাজারে এখন প্রতিয়মান জলপাই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫টাকা থেকে ২২টাকা পর্যন্ত। মণে বিক্রি হচ্ছে ২০০টাকা থেকে ৮৫০টাকা পর্যন্ত।

অন্যদিকে, তেঁতুলিয়া উপজেলার ৫নং বুড়াবুড়ি ইউপির কালদাসপাড়া গ্রামের জলপাই গাছের মালিক মো: আব্দুল জব্বার জানান, আমি গত বছরের তুলনায় এবার ২শত টাকা গাছ প্রতি বেশি দামে বিক্রি করতে পেরেছি। কেননা, পাইকাররা গ্রামে গ্রামে এসে জলপাই কিনতে আর তারই সুযোগ বুঝে আমরা বেশি দামে বিক্রি করার সুযোগ পাই।