পটুয়াখালীর মহিপুরে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল

জামাত বিএনপির দোসররা কখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জিয়ার নির্দেশে ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীও শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারেনি।

কিন্তু দেশ বিরোধী চক্রান্ত করে ক্ষমতার লোভে সেদিন জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে হত্যা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে চিরতরে মুছে দিতে চেয়ে ছিল। কিন্তু সেদিন আল্লাহর রহমতে বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা দেশের বাহিরে থাকায় বিপথগামী সেনাদের হাত থেকে প্রানে বেঁচে যায়। কিন্তু দীর্ঘ বছর পর পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে
বাংলাদেশে এসে যেদিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতীর হাল ধরেছেন। তার পর থেকেই জন নেত্রী শেখ হাসিনাকে শেষ করার একটার পর একটা পরিকল্পনা করেছে জামাত বিএনপি। তারই ধারাবাহিকতায় ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল পাকিস্তানি দালালরা। কিন্তু সেদিনও তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এর পরেও বিএনপির দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই।এই আগষ্ট মাসেই একটার পর একটা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

বৃহষ্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে মহিপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন,পটুয়াখালী ০৪ আসনের সাংসদ মহিববুর রহমান। সভায় মহিপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মালেক আকন্দের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন , কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, এসএম রাকিবুল আহসান, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সৈয়দ নাসীর,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ শিকদার, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল বারেক মোল্লা, মহিপুর থানা যুবলীগের আহবায়ক বুলেট আকন, লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সম্পাদক আনসার উদ্দিন মোল্লা, ধুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক মোদাচ্ছের হাওলাদারসহ ছাত্রলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ নেতারা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন।

সভায় আওয়ামীলীগ নেতারা বলেন, আমরা দলের জন্য সব ধরনের বিবাদ ভুলে একসাথে রাজপথে নেমেছি। আগামী ২৮/২৯ তারিখ জামাত বিএনপি সারাদেশে ফের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর পায়তারা চালাচ্ছে। কিন্তু দাঁতভাঙা জবাব দেবে আওয়ামী দলীয় নেতা কর্মীরা। সেই লক্ষে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে, মহল্লায় সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেন দলের সিনিয়র নেতারা। এমনকি বিএনপিকে কঠোর ভাবে প্রতিহত করতে সিনিয়র নেতারাও মাঠে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।