পবন স্যারের পেনশনের টাকাটা

পবন স্যারের পেনশনের টাকাটা
চৌধুরী মতিন


গণিতের মাস্টার পবন স্যার-
বয়স পৌঁছেছে ষাটের কোঠায়
পেনশনে যান নিয়ম মতোই।
ফি মাসের বেতন বন্ধ হয় যথারীতি।
কিন্তু সাংসারিক খরচ
সে কি বন্ধ হবার? হয় না।

যৎসামান্য সঞ্চয়
তপ্ত কড়াইয়ে ফেলা জলের মতোই
অদৃশ্য হয়ে যায় দিন কয়েক বাদেই।
তবু আশা পেনশনের টাকাটা-
ওটাকে ঘিরেই স্বপ্ন যতো।

এরপরই নাটকের দ্বিতীয় পর্বের শুরু!
বগলে ফাইল চেপে
এজি অফিসে নিত্য যাতায়াত।
এ কাগজ, ও কাগজ!
কত্তো কাগজ যে লাগে এজি অফিসে!

একদিন বড়ো কেরানী বলেন,
“স্যার, মোগো চা-মিষ্টি খাওয়ার জন্যি
কিছু ছাড়ুন, কাজটা তাড়াতাড়ি হইয়ে যাবিনে।”

পবন স্যার বুঝে সব।
তারপর ফ্যাকাসে মুখে বলে
” টাকাটা পাশ হলেই….. ”

এরপর একদিন
হঠাৎই এজি অফিসের বারান্দায়
মাথা ঘুরে পড়ে যায় পবন স্যার।
নেওয়া হয় হাসপাতালে।
ততক্ষণে স..অ…ব শেষ।

পবন স্যারের পেনশনের টাকাটা
এখনও প্রয়োজন।
তবে, তা তাঁর শ্রাদ্ধের খরচ মেটানোর জন্যে…!

সহকারী প্রধান শিক্ষক
সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এণ্ড কলেজ