পবিত্র আশুরার ফযীলত ও আমল

আরবী আশরা শব্দ হতে আশুরা শব্দটি উদ্ভুত। অর্থাৎ মুহররম শরীফ মাসের দশম দিনটি পবিত্র আশূরা শরীফ হিসেবে পরিচিতি। এ আশূরাকে ঘিরে নানাবিধ বরকতময় ঘটনার অবতারণা হয়েছে। আশেকে রসূল, আরিফ বিল্লাহ্, রঈসূল মুহাদ্দিসীন, আল্লামা হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার বিখ্যাত কিতাব “মা ছাবাতা বিস্সুন্নাহ”- মধ্যে উল্লেখ করেছেন যে, মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন মুহররম শরীফ মাসের দশ তারিখেই সৃষ্টির শুরু করেন এবং মুহররম শরীফ মাসের দশ তারিখে অর্থাৎ পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন শুক্রবারেই ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে। পবিত্র হাদীছ শরীফে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা পবিত্র মুহররম শরীফ মাসকে সম্মান করবে, কেননা এই মাসের দশ তারিখে অর্থাৎ পবিত্র আশূরা শরীফে অনেক কন্নাকটি, অনেক রোনাজারী ও অনেক ফরিয়াদের পর মহান আল্লাহ পাক হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার মুনাজাত শরীফ ককুল করেন। এ দিনেই আল্লাহ তায়ালা হযরত ইদ্রীস আলাইহিস সালামকে আকাশে তুলে নেন। এ দিনেই হযরত নূহ আলাইহিস সালাম এবং তার সঙ্গী-সাথী যারা ছিলেন মহান আল্লাহ পাক উনাদেরকে মহাপ্লাবন থেকে মুক্তি দেন। মহান আল্লাহ পাক এ দিনেই হযরত মূসা আলাইহিস সালাম উনার সাথে কথা বলেছিলেন এবং তাওরাত শরীফ নাযিল করেছিলেন। এ দিনেই বনী ইস্রাঈল সম্প্রদায়ের জন্য মহান আল্লাহ পাক লোহিত সাগরের উপর দিয়ে রস্তা করে দেন যার উপর দিয়ে হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এবং তার সম্প্রদায় পার হয়ে যান আর ফেরাউন তার দলবলসহ উক্ত সাগরে ডুবে মারা যান। মহান আল্লাহ পাক হযরত ইউনুস আলাইহিস সালামকে মাছের পেট থেকে মুক্তি দেন এবং হযরত আইয়ূব আলাইহিস সালাম উনাকে দীর্ঘ অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভ করেন। দীর্ঘ দিন বিচ্ছেদের পর হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে উনার পিতা হযরত ইয়া’কূব আলাইহিস সালাম উনার কাছে ফিরিয়ে দেন। এ দিনেই মহান আল্লাহ পাক হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম উনার দু’য়া কবুল করেন এবং হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালামকে তার রাজত্ব ফিরিয়ে দেন। মহান আল্লাহ পাক এ দিনেই হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাকে আসমানে তুলে নেন। এই দিনই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা, সম্মান ও খুছূছিয়াত এবং হাবীবুল্লাহ হওয়ার আনুষ্টানিক ঘোষনা করা হয়। আরো অসংখ্য অগণিত স্মৃতি বিজড়িত এ মহান পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন। কাজেই এর মর্যাদা-মর্তবা, তাৎপর্য, সম্মন কতটুকু তা নিম্নলিখিত আমলসমূহ হতে সহজেই উপলব্ধি করা যায়।
পবিত্র মুহররম শরীফ মাসে আশূরা উনার রোযার ফযীলতঃ
মহান আল্লাহ পাক-এর রহমতা, বরকত ও ছাকীনা এবং মাগফিরাত-ক্ষমা সম্বলিত পবিত্র মুর্হরম মাসের অন্যতম আমল হচ্ছে পবিত্র আশূরার দিন রোযা রাখা। পবিত্র রমাদ্বান শরীফের রোযা ফরয হওয়ার পূর্বে পবিত্র আশুরা শরীফ উনার রোযাই ফরয ছিল। কাজেই পবিত্র রমাদ্বান শরীফের রোযার পরই হচ্ছে এ রোযার স্থান।
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে,“সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,খতামুন্নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, “রমাদ্বান শরীফের রোযার পর মহান আল্লাহ পাক-এর মাস মুহররমের রোযাই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ।” (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ, তিরমিযী শরীফ ও রিয়াদুস সালেহীন) খলিফাতু রসুলিল্লাহ, মুরতাজা হযরত কারামুল্লাহ ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম বলেন, এক ব্যক্তি এসে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,খতামুন্নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেন, হে আল্লাহ পাক-্এর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! রমাদ্বান মাসের পর আর কোন মাসের রোযা রাখতে নির্দেশ দেন? তখন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “যদি তুমি রমাদ্বান মাসের পর আরো রোযা রাখতে চাও তবে পবিত্র মুহররম শরীফ মাসে রোযা রাখ। কেননা এটা মহান আল্লাহ পাক-এর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে যেদিন মহান আল্লাহ পাক এক সম্প্রদায়ের তওবা কবুল করেছেন এবং তিনি অপর এক সম্প্রদায়ের তওবা কবুল করবেন। (তিরমিযী শরীফ, আহমদ)
এ হাদীছ শরীফ মোয়াফেক শাইখুল আলম, আশেকে রসূল, আরিফ বিল্লাহ্, রঈসূল মুহাদ্দিসীন, আল্লামা হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “যে কোন কঠিন গুণাহ্গার ব্যক্তি যদি পবিত্র আশুরা উনার দিন তওবা করে তাহলে মহান আল্লাহ পাক অবশ্যই তার তওবা কবুল করবেন।” (মা ছাবাতা বিস্সুন্নাহ, মু’মিন কে মাহে ওয়া সাল) পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, “নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,খতামুন্নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র আশুরার দিন রোযা রেখেছেন এবং ঐ দিন সকলকে রোযা রাখার হুকুম দিয়েছেন।” (পবিত্র বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, রিয়াদূস সালেহীন) পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো বর্ণিত আছে, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,খতামুন্নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পবিত্র আশূরার রোযার ফযীলত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এটা বিগত দিনের গুণাহর কাফ্ফারা স্বরুপ।”(মুসলিম শরীফ, রিয়াদূস সালেহীন)
উল্লেখ্য, অন্যান্য মাসের একটি রোযা রাখতে কোন অসুবিধা নেই; কিন্তু পবিত্র আশূরার রোযা একটি রাখা মাহরুহ। কেননা ইহুদীরা পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিনে রোযা রেখে থাকে। আর আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,খতামুন্নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহুদী-নাছারাদের অনুসরণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,খতামুন্নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি আমাদের ভিন্ন অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। কাজেই তোমরা ইহুদী এবং নাছারাদের সাদৃশ্য অবলম্বন করোনা।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ/৩৯৯পৃষ্ঠা) কাজেই পবিত্র আশূরা শরীফ উপলক্ষে কমপক্ষে দু’টি রোযা রাখতে হবে, ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ। তবে ৯ ও ১০ তারিখ রোযা রাখাই উত্তম। অতএব, পবিত্র আশূরা শরীফ উনার ফযীলত ও আমল আমাদের সকলকে করার তাওফীক্ব দান
করুন। (আমীন)
পবিত্র মুহররম শরীফ মাসে আশূরা উনার ইফতারের ফযীলতঃ
আশুরা উনার রোজার ইফতারীর ফযীলত সম্পর্কে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,খতামুন্নাবীয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, “আশুরার দিন যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে যেন সমস্ত উম্মতি মুহম্মদিকে ইফতার করালো”। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র মুহররম শরীফ মাসে আশূরা উনার দিন পরিবারবর্গকে ভাল খাওয়ানোঃ
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবীয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আশুরা উনার দিন তার পরিবারবর্গকে ভাল খাওয়াবে-পরাবে মহান আল্লাহ পাক সারা বৎসর তাকে স্বচ্ছলতা দান করবেন। (তিবরানী শরীফ, শোয়াবুল ঈমান, মা-সাবাতা-বিস্সুন্নাহ, মুমিনকে মাহে ওয়াসাল, আ’মালী ইত্যাদি)
পবিত্র মুহররম শরীফ মাসে আশূরা উপলক্ষে গোসল উনার ফযীলতঃ
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,খতামুন্নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আশুরা উনার দিন গোসল করবে মহান আল্লাহ পাক তাকে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন। মৃত্যু ব্যতীত তার কোন কঠিন রোগ হবেনা এবং অলসতা ও দুঃখ-কষ্ট হতে নিরাপদ থাকবে।”
পবিত্র মুহররম শরীফ মাসে আশূরা উপলক্ষে চোখে সুরমা দেয়ার ফযীলতঃ
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবীয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আশুরা উনার দিন মিশ্ক মিশ্রিত সুরমা চোখে দিবে সে দিন হতে পরবর্তী এক বৎসর তার চোখে কোন প্রকার রোগ হবেনা।” (মাকাসিদে হাসানা, শোয়াবুল ঈমান, দায়লামী, মাসাবাতা বিসসুন্নহ, মুমিনকে মাহে ওয়াসাল/২৩)
পবিত্র মুহররম শরীফ মাসে আশূরা উনার দিন গরীবদেরকে খাদ্য দানের ফযীলতঃ
মাওলানা ইকবালুদ্দীন আহমাদ সাহেব তার “মু’মিনকে মাহে ওয়াসাল” কিতাবের ২৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন, “আশূরার দিন যে ব্যক্তি আহলে বাইতের গরীব-মিসকীনগণকে পেট ভরে খাদ্য খাওয়াবে সে ব্যক্তি বিদ্যুৎ বেগে পুলসিরাত পার হবে।” সুবহানাল্লাহ!
হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবীয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আশুরা উনার দিন কোন মুসলমান ইয়াতিমের মাথায় হাত স্পর্শ করে এবং কোন ক্ষুধার্তাকে খাদ্য খাওয়ায় এবং কোন পিপাসার্তকে পানি পান করায় তাহলে মহান আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতের খালিস শরবত “সালসাবীল” ঝর্ণা থেকে পানি পান করাবেন।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র মুহররম শরীফ মাসে আশূরা উনার দিন আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের আলোচনা পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে, আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তথা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা করা। কেননা যার আলোচনা যত বেশী করা হয় তার মুহব্বত ততই বৃদ্ধি পায়। আর আহলে বাইতগণের প্রতি গভীর মুহব্বত ভালবাসা, পরকালীন মুক্তি এবং মহান আল্লাহ পাক ও তার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,খতামুন্নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই সন্তুষ্টির কারণ। রহমত, বরকত ও সাকীনা লাভের শেষ্ঠ উপায়।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,খতামুন্নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই মর্মে মুবারক মুনাজাত শরীফ করেন যে. হে মহান আল্লাহ পাক! আমি তাদেরকে (হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামকে) ভালবাসি। আপনিও তাদেরকে ভালবাসুন এবং যে ব্যক্তি তাদেরকে ভালবাসবে তাকেও আপনি ভালবাসুন, মুহব্বত করুন।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ/৫৭০) সাথে সাথে তার শিক্ষাকে নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করা। হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম এজিদের কুখ্যাত বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন কিন্তু তবুও অসত্যকে মেনে নেননি। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার রহমত, বরকত ও অফুরন্ত সাকীনার অধিকারী করুন এবং হক্ব মতে ও পথে দায়েম-কায়েম থাকার তাওফীক্ব দান করুন। (আমিন)