নরসিংদীর রায়পুরায় বেড়েছে সুদের কারবার!

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল এলাকায় বাড়ছে প্রতিনিয়ন সুদের ব্যবসা। এতে করে নিরীহ, গরীব ও অসহায় মানুষগুলো দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
ফলে তাদেরকে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজালের গ্রামের নাজিম উদ্দিন (৩৮) নামের এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, তিনি ব্যবসার কারণে বিভিন্ন এনজিও থেকে কয়েক লাখ টাকা খালি চেকের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পর এক কিস্তি দিতে না পারলেই তারা ঋণগ্রহণকৃত টাকার পরিমাণের চেয়ে তিনগুণ টাকা পাওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে চেক ডিজঅনারের মামলা করে দেয়।

মরজাল গ্রামের অধিকাংশ ঘরগুলোতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে সুদ ব্যবসা।
ঋণের জালে এখন আটকা পড়ছে মরজাল গ্রামের অনেক সহজ সরল মানুষ।

এনজিও কর্মীরা এবং সুদ ব্যবসায়ীরা অসহায় মানুষকে জিম্মি করে চক্রবৃদ্ধি হারে আদায় করছে ঋণের সুদ। ঋণের ফাঁদে পড়ে সাধারণ মানুষ স্বনির্ভর হওয়া দূরে থাক, হয়ে যাচ্ছে সর্বস্বান্ত।

মরজাল এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরশীলতা সৃষ্টির নামে একশ্রেণির এনজিও কার্যত জমজমাট সুদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে অবাধে। প্রশাসনের চোখের সামনে এনজিওগুলো ক্রেডিট প্রোগ্রামের নামে সুদের কারবার চালিয়ে ফুলে ফেপে উঠছে। ক্রেডিট প্রোগ্রামের নামে সুদের কারবারে অনেক এনজিও কর্ণধার রাতারাতি শূন্য থেকে কোটিপতি হচ্ছেন যা নরসিংদীর অনেকেই অবগত।
অন্যদিকে মরজাল গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী আরো দরিদ্র হচ্ছে। দারিদ্র্যবিমোচন, পল্লী উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির নামে সুদের কারবারের বলি হচ্ছে এ গ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠী। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ হচ্ছে ঋণগ্রস্ত।

মরজাল গ্রামের সাধারণ মানুষ অভিযোগ করে বলেন, প্রতিনিয়ত মরজাল গ্রামের এক শ্রেনীর অসাধু সুদ ব্যবসায়ীরা কৌশলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে তাদের কাছ থেকে জমি দখল করার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া সুদ ব্যবসায়ীরা টাকা না দিলে অসহায় মানুষদের নির্যাতন করার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মরজাল এলাকার সচেতন মানুষগুলোর দাবী, প্রশাসনের উচিত তদন্ত করে সুদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।