পাবনার খামারে ৭ লাখ কোরবানীর পশু নিয়ে প্রস্তুত খামারীরা

সামনের মাসেই পবিত্র কোরবানীর ঈদ। সারাদেশে পশুর হাটগুলোতে চলছে জোর প্রস্তুতি। সারাদেশে কোরবানীর পশুর জন্য সুনাম রয়েছে পাবনার। স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে পাবনার পশু সরবরাহ হয়ে থাকে সারাদেশে।

পবিত্র ঈদ উল-আযহাকে সামনে রেখে এ বছরও বিপুলসংখ্যক পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করেছেন জেলার খামারীরা। জেলার ২৪ হাজার খামারে প্রায় ৭ লাখ কোরবানীর পশু প্রস্তুত রয়েছে এবারের ঈদ উপলক্ষে। পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. কৃষ্ণ মোহন হাওলাদার বলেন, জেলায় চলতি বছরে প্রায় ২৪ হাজার খামারে প্রায় ৭ লাখ কোরবানীর পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৭৭ হাজার গরু ও মহিষ আর ৩ লাখ ৭১ হাজার ছাগল-ভেড়া। জেলাতে সব মিলিয়ে ৩ লাখ কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে। আর সাড়ে ৩ লাখ পশু বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ হবে। বিগত দুই বছর অনলাইনে পশু কেনাবেচা হলে এই বছরে করোনার সংক্রমণ কম থাকায় হাটবাজারে পশু বিক্রি বেশি হবে বলে মনে করছেন জেলা প্রাণিসম্পদ এই কর্মকর্তা।

কোরবানীর পশুর জন্য ক্রেতাদের অন্যতম ভরসার নাম পাবনা অঞ্চল। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও কোরবানীর ঈদের চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন পাবনার তরুণ অনেক পশু খামারী। ‘পাবনার বাদশা’ ‘স্বপ্নরাজ’ বিভিন্ন নামে বিশাল আকৃতির ষাঁড় নিয়ে পাবনা অঞ্চলের মান রেখেছেন খামারীরা। ষাঁড়গুলো দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতারা আসছেন।
ঈদের আগেই পছন্দের বেশিরভাগ পশু খামার থেকে কিনে নিয়েছেন দেশের ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ীরা। এক খামারে রয়েছে বিশাল আকৃতির বাদশার ওজন প্রায় সাড়ে ৩২ মণ। গরুটির জন্য চাওয়া হয়েছে ২০ লাখ টাকা। পাবনার খামারে ব্রাহামা, অস্ট্রেলিয়ান ছাড়াও শাহীয়াল, ফিজিয়াম, ভুটান থেকে আনা ছোট ভুট্টি জাতের গরু রয়েছে।

গরুর পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের খাসিও রাখা হয়েছে এ তালিকায়। মূলত ঈদের পর সারাদেশ ঘুরে বিভিন্ন জাতের গরু সংগ্রহ করে রাখা হয়। বেপারী বা ক্রেতারা খামারে এসে পছন্দ করে গরু কিনছেন।