পাবনার সুজানগরে বৈধ বালুমহাল নেই, তবুও চলছে বালু উত্তোলন!

পাবনার সুজানগরের পদ্মা নদীতে সরকার অনুমোদিত বৈধ কোন বালুমহাল নেই। ইতিপূর্বে উপজেলার বালু ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বালুমহালের দাবিতে আবেদন করলেও আইনী জটিলতার কারণে পদ্মা নদীর সুজানগর অংশে কোন বালুমহাল ঘোষিত হয়নি। কিন্তু তার পরও এলাকার প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা পদ্মা নদীর চরবিশ্বনাথপুর, লক্ষীপুর এবং হাজারবিঘা পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন।

পদ্মা নদীর পার্শ্ববর্তী মুজায়িতপুর গ্রামের বাসিন্দা আরশেদ আলী এবং গোপালপুর গ্রামের মজিবর শেখ বলেন পদ্মা নদীর ওই ৩টি পয়েন্টে উপজেলার সাতবাড়ীয়া এবং ভায়না ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর, তারাবীয়া, গোপালপুর, ভায়না, হেমরাজপুর, চলনা, চরপাড়া এবং লক্ষীপুরসহ ৮ থেকে ১০টি গ্রামের শত শত কৃষকের হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি রয়েছে। কিন্তু এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী প্রতিদিন ওই ৩টি পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ শক্তিশালী ড্রেজার দিয়ে লক্ষ লক্ষ ঘণফুট বালু উত্তোলন করছেন।
এতে ওই সকল জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

ইতিমধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকরা পদ্মাপাড়ের লক্ষীপুর এলাকায় মানববন্ধন করেছেন। সেইসঙ্গে পদ্মাপাড়ে বালু ব্যবসায়ীদের সাময়িক বসবাসের জন্য নির্মাণ করা একটি ছাপড়া ঘর ভেঙে দিয়েছেন। কিন্তু তার পরও বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলার হেমরাজপুর গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক খবির উদ্দিন এবং লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক সুলতান শেখ বলেন আমাদের চরাঞ্চলের ওই জমিতে ধান, পাট, পেঁয়াজ এবং বাদামসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন হয়।
আমরা ওই ফসলের উপর নির্ভর করে বছরের প্রায় ৬,৭ মাস স্বচ্ছলভাবে সংসার চালাই। কিন্তু অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ওই সকল ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে আমাদের জীবিকা নির্বাহে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিনহাজুল ইসলাম বলেন সুজানগরে সরকার অনুমোদিত কোন বৈধ বালুমহাল নেই। কাজেই শীঘ্রই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।