পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে গরু ও ছাগলের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

পিরোজপুরে প্রানবৈচিত্র্য সুরক্ষায় গরু ও ছাগলের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প ও গবাদি পশুপালন বিষয়ক ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের উমেদপুর গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত আশ্রয়ন প্রকল্পে ও হোগলাবুনিয়া গ্রামে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উদ্দীপন পিরোজপুর জোনের আওতায় পিরোজপুর অঞ্চলের গবাদিপ্রানির টিকা প্রদান কর্মসূচি প্রকল্পের উদ্যোগে এই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প ও ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

ক্যাম্পে গবাদিপ্রানির টিকা প্রদান কর্মসূচি প্রকল্পের এফপিও (লাইভস্টক) মো: রিফাত উদ্দিন উমেদপুর গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পের ০৬টি পরিবারের ২৮টি ছাগল পিপিআর ও হোগলাবুনিয়া গ্রামের ০৫টি পরিবারের ১৭টি গরু এফএমডি ও ০৬টি পরিবারের ২৫টি ছাগলকে পিপিআর রোগের ভ্যাকসিন প্রদান করেন। ভ্যাকসিন প্রদানের পাশাপাশি গবাদি পশুর আরও কিকি রোগ হতে পারে সে বিষয় ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন জোনের কৃষি পাঠশালা প্রকল্পের এফপিও (এগ্রিকালচার)অনিক বিশ্বাস।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমৃদ্ধি কর্মসূচির সমন্বয়কারী কৃষিবিদ সুভাষ চন্দ্র দে, উদ্দীপন পাড়েরহাট শাখার শাখা ব্যবস্থাপক বিশ্ব অধিকারি, সমৃদ্ধি কর্মসূচির উদ্যোগ উন্নয়ন কর্মকর্তা, আহম্মেদ ইফতেখার, সমৃদ্ধি কর্মসূচির সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, সমৃদ্ধি কর্মসূচির সুপারভাইজার (শিক্ষা) আশিষ কুমার শিকদারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উমেদপুর গ্রামের আবাসন প্রকল্পের মারুফা বেগম বলেন, আমার ১০টি ছাগল ছিল ২টির হঠাৎ নাক-মুখ দিয়ে পানির মত তরল বের হত, দুর্গন্ধযুক্ত পাতলা পায়খানা ও মুখে ঘাঁ হয়েছিল বুঝতে পারিনি, রোগের আগে টিকা দিলে খুব ভাল হতো, দুটি ছাগলই আমার মারা গেল।’

হোগলাবুনিয়া গ্রামের মো: সরোয়ার হোসেন বলেন, আমার বলদ গরুর গত বছর মুখে ঘাঁ হয়, শরীরে প্রচন্ড জ্বর ছিল, মুখ দিয়ে লালা ঝরতো, কোন খাবার খেতে চাইত না, গরুর পায়ে ঘাঁ দেখা দেয়, আমার পরিস্কার করতে অনেক কষ্ট হত, গরুকে ভ্যাকসিন দিবো দিবো করে আর দেওয়া হয়নি। এই ভ্যাকসিন ক্যাম্পের মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রদান ও ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে বাস্তবে ভ্যাকসিন কিভাবে দিবো তা দেখার কারণে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি এবং এ উদ্যোগের কারনে আমাদের গরু ও ছাগলগুলো রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে আশাকরছি।’