প্রতিনিয়ত পাঠদান ব্যাহত

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পূর্ব ছোট মিঠাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কক্ষ সংকট

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ৭৯ নং পূর্ব ছোট মিঠাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কক্ষ সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের অবহেলায় বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান কমে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, একটি শ্রেনীকক্ষকে টিনের পার্টিশন দিয়ে দুইটি কক্ষ বানানো হয়েছে। এক শিফটের এ বিদ্যালয়টিতে ২য় ও ৩য় শ্রেনীর পার্টিশন দিয়ে পাঠদান করানোর সময় ছাত্র ছাত্রীরা পাঠদানে মনোযোগ দিতে পারে না।এজন্য অনেক শিক্ষার্থীরা ঠিকমত রিডিং পড়তে পারে না।অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল ড্রেস নাই।৫ম শ্রেনীতে উপস্থিত ১৩ জনের মধ্যে স্কুল ড্রেস পড়ে এসেছে ৬ জন,৪র্থ শ্রেনীতে ১১ জনের মধ্যে ৩ জন, ৩য় শ্রেনীতে ১৬ জনের মধ্যে ৩ জন শিক্ষার্থী ড্রেস পড়ে এসেছে।

প্রধান শিক্ষিকা কংকরী রানী হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে গেছেন ভাইপোর বিবাহ অনুষ্ঠানে। তবে সহকারি শিক্ষকরা জানেন, তিনি অফিসে গেছেন। মুভমেন্ট রেজিস্ট্রার খাতা রেখে যান আলমিরাতে। অফিস কক্ষে নেই মনিটরিং বোর্ড এবং শিক্ষক পরিচিতি বোর্ড। ছোট্র একটি টেবিলের চারপাশে গাদাগাদি করে বসেন সহকারি শিক্ষকরা। প্রাক প্রাথমিকে নেই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ফ্লোর ম্যাট। ব্যবহার করা হয় না শিখন উপকরণ।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মোসাঃ ইয়াসমিন আক্তার শুধু কাগজে কলমে দায়িত্ব পালন করেন। বিদ্যালয়ের খোঁজ খবর রাখেন সভাপতির দেবর মনির আকন। ২ লাখ টাকার ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ দিয়ে রং করা হয়েছে। শ্রেনী কক্ষ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করা হয়নি। যদিও কোন কোন বিদ্যালয়ে মোট ১৪/১৫ জন শিক্ষার্থী থাকলেও সেখানে ২ লাখ টাকা দিয়ে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট টিন শেডের অতিরিক্ত ক্লাস রুম করা হয়েছে। যা আদৌ ব্যবহার করা হয় না। আর এ বিদ্যালয়টিতে ক্লাস রুম না করে কোন রকম রংয়ের লিপ দিয়ে ২ লাখ টাকার (ভ্যাট বাদে) ভাউচার করা হয়েছে। এছাড়া স্কুল পর্যায়ে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নেও অনিয়ম রয়েছে।এ পর্যন্ত বিদ্যালয়টিতে কোন গাছের চারা রোপন করা হয় নি। দেখলেই মনে হয়,অযত্ন আর অবহেলায় রয়েছে বিদ্যালয়ের পরিবেশ। এজন্য শিক্ষা কর্মকর্তাদের দায়সারা পরিদর্শণকে দায়ী করেন অনেকেই।

প্রধান শিক্ষিকা কংকরী রানী বলেন,২৫/৩০ জন শিক্ষার্থীর স্কুল ড্রেস বানাতে দেওয়া হয়েছে।শ্রেনী কক্ষ সংকট রয়েছে – এটা সত্য। ২ লাখ টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ে আপাতত রং করা হয়েছে।
সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং বিদ্যালয়টির ক্লাস্টার অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান জানান,গ্রহনযোগ্য অসঙ্গতিগুলো সংশোধন করার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হবে।কমন সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য মাসিক সমন্বয় সভায় বলে দেওয়া হবে।