পীরগঞ্জে যাত্রীবাহী নৈশকোচে ডাকাতি, চালক নিহত

রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী যাত্রীবাহী কোচ (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৩৮১০) হানিফ পরিবহণে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৩১ আগষ্ট) দিনগত রাতে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী বিটিসি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাস চালক মুনজুর হোসেন (৬২) ডাকাত দলের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত ও লিটন ইসলাম নামে এক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। নিহত কোচ চালক ঢাকার লালবাগ এলাকার মৃত মজনু মিয়ার পুত্র।

বাসের সুপার ভাইজার পইমুল ইসলাম, হেলপার বুলবুল ও আহত যাত্রী লিটন ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে হানিফ পরিবহণ নামের যাত্রীবাহী বাস পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে রাত ৯টার দিকে যাত্রীবেশে ৩ জন ডাকাত বাসে উঠে। অনুমান রাত ১০টার দিকে চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ড থেকে আরও ২ ডাকাত যাত্রীবেশে বাসে উঠে। রাত ২টার দিকে বাসটি পীরগঞ্জ সীমানার ধাপেরহাট নামক স্থানের সন্নিকটে এলে চালকের কাছ থেকে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে ডাকাতদল। এতে কোচ চালক প্রতিবাদ করলে ডাকাতদল উপর্যুপরি চালককে ছুরিকাঘাত করে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। অপরাপর ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের নিকট থেকে ১৪ থেকে ১৫টি মোবাইল ফোন ও ৫০ হতে ৬০ হাজার নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এ সময় বাঁধা দিলে যাত্রী লিটন ইসলামের দুই হাতে ছুরিকাঘাত করা হয়। বাসটি মহাসড়কের বড়দরগাহ ভাবনা ফিলিং স্টেশনে এসে উল্টো পথে আবারও ঢাকামূখী চলতে থাকে। রাত সাড়ে ৩ টার দিকে পলাশবাড়ী-পীরগঞ্জ সীমানার সন্নিকটে চকশোলাগাড়ি বিটিসি মোড়ে ডাকাত দল বাস আটকিয়ে নির্বিগ্নে চলে যায়। এ সময় গুরুতর আহত চালক ও যাত্রীকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চালক মুনজুর হোসেন মৃত ঘোষনা করে। খবর পেয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ চালকে লাশসহ, আহত যাত্রী ও কোচটি পীরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। এ প্রসঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) কামরুজ্জামান জানান, নৈশকোচের সুপার ভাইজার পইমুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা রুজু করেছে। ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।