পূর্বাচলে হবে ৭০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়াম

অবশেষে সুরাহা হতে যাচ্ছে পূর্বাচলে ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বরাদ্দকৃত ৩৭.৫০ একর জমি নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে দড়ি টানাটানির অবসান।

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বিসিবির মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক সভায় পূর্বাচলের পুরো জায়গায় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কমপ্লেক্স ও পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণের জন্য ক্রিকেটকে দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার ও বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণায়ের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, বিসিবির অন্যতম দুই পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়া ও ডা. ইসমাইল হায়দার মল্লিক।

জানা গেছে, দ্রুতই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ পাঠাবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, এখন তারা পুরো জায়গার ওপর তাদের মতো করে কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে পারবে।

রাজউকের বরাদ্দকৃত ৩৭.৫ একর জমির মধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিসিবিকে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য দিতে চেয়েছিল ১৭ একর। বাকি ২০.৫ একর জমিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে একটি কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা ছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। সেভাবেই পূর্বাচলে ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও কমপ্লেক্স নির্মাণের সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।

বিসিবি আগে থেকেই পুরো জায়গা চেয়ে আসছিল নিজেদের উদ্যোগে স্টেডিয়াম ও কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য। দুই পক্ষের টানাটানির কারণে প্রধানমন্ত্রী ওই সারসংক্ষেপ অনুমোদন না করে বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করে নতুনভাবে তা প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে। সে মোতাবেক মঙ্গলবার হয়েছে দুই পক্ষের সেই আলোচনা।

বিসিবি পূর্বাচলের পুরো জায়গার ওপর কিভাবে স্টেডিয়াম ও কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে তার একটি নকশাও জমা দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে। বিসিবি এ জায়গার ওপর ৬৫ থকে ৭০ হাজার দর্শকধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়াম নির্মান করবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে। কমপ্লেক্সে থাকবে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। সেখানে ফাইভ স্টার হোটেলও নির্মাণ করা হবে।