পেঁয়াজের দাম বাড়ছে রমজানের আগেই

রমজান মাস শুরুর আগেই বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। ১৫ দিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে সবধরনের পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একলাফে কেজি-প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে রসুন ও আদার দর। দাম বৃদ্ধির পেছনে সরবরাহ সংকটের অজুহাত পাইকারদের।

এদিকে, ইরি মৌসুমের নতুন চাল আসতে শুরু করায় স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার।

রোজা আসতে এখনো প্রায় দু’সপ্তাহ বাকি। এখনো সদাই এর তালিকা সাধারণ মানুষের হাতে না উঠলেও দাম বসে নেই। এরইমধ্যে ঝাজ বেড়েছে পেঁয়াজের। বেড়েছে আমদানি করা আদা-রসুনের দরও। যদিও ১৫ দিন আগে আমদানি ও উৎপাদন মিলিয়ে পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় পেঁয়াজ-আদা-রসুনের দাম বাড়বে না আভাস দিয়েছিলেন পাইকাররা। অথচ এ সপ্তাহে দাম বৃদ্ধির জন্য তারাই সামনে আনছেন সরবরাহ ঘাটতিকে।

ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানে যার লাগবে এক বস্তা, সে কিনছে তিন বস্তা। এই কারণে চাহিদা বেশি আমদানি কম। গেল সপ্তাহে যে আদাটা বিক্রি করেছি ৭০-৭৫ টাকায়। এই সপ্তাহে সেই আদা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা।

বাজারে দেখা মিলছে এ মৌসুমের নতুন মিনিকেট ও আটাশ চালের। এতে অনেকটাই স্থিতিশীল হয়ে উঠেছে সব ধরনের চালের দাম।

চাল ব্যবসায়ী জানান, চালের মধ্যে পুরাতন মিনিকেট বিক্রি করতেছি ৫৯-৬০ টাকা। আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪১ টাকায়।

পাইকারি বাজারে অপরিবর্তিত আছে ছোলার দাম। মানভেদে প্রতি-কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। মুগ ও মসুর’সহ প্রায় সবধরনের ডালও বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। তবে, উর্ধমূখী চিনির দাম।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর যে ছোলা বিক্রি করেছি ৮০-৯০ ও ১০০ টাকায় বিক্রি করেছি। এই বছর ভাল মানের ছোলা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি বাজারে স্থিতিশীল আছে জিরা ও এলাচসহ প্রায় সব ধরনের মসলার দাম।