প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বইয়ের চাহিদা চেয়েছে অধিদফতর

প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদেরকে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে পাঠ্যবই দিতে মাঠ পর্যায়ের বইয়ের চাহিদা চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। বইয়ের চাহিদা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদেরকে বিভাগীয় অফিসে পাঠাতে বলা হয়েছে। বিভাগীয় অফিস তা যাচাই-বাছাই করে ৭ এপ্রিলের মধ্যে ডিপিই পাঠাবে।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) ডিপির উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. বাহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠি দেশের সব বিভাগীয় কার্যালয়, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, তথ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে ২০১৯ ও ২০২০ শিক্ষাবর্ষ ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালের অধিভুক্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা পর্যালোচনা করে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা কেমন সেটা উল্লেখ করতে হবে। ৭ এপ্রিলের মধ্যে এ সংক্রান্ত পাঠানোর ক্ষেত্রে যদি কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে এ ব্যাপারে দায়ী থাকবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অধিদফতর বলছে, প্রতি বছর বই ছাপানোর আগে মাঠ পর্যায়ে বইয়ের চাহিদা কেমন তা জানার পর দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রকৃত চাহিদার পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও ৫ শতাংশ বই বাফার স্টক (দুর্যোগকালের জন্য) হিসেবে ছাপানো হয়।

মঙ্গলবার ডিপির উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. বাহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২২ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা ডিপিই নিদিষ্ট ছকে আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসে পাঠাতে হবে। আঞ্চলিক অফিস তা যাচাই-বাছাই করে আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে ডিপিইতে পাঠাবে।

তবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তার আওতাধীন সব উপজেলা বা থানা হতে প্রাপ্ত পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করবে এবং সব উপজেলা বা থানার তথ্য জেলায় সমন্বিত করে সেই তথ্য নিদিষ্ট ছকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে বিভাগীয় উপ-পরিচালক অফিসে পাঠাতে হবে।

বিভাগীয় উপ-পরিচালক তার আওতাধীন জেলার তথ্য যাচাই করে সব জেলার তথ্য সমন্বিত করে বইয়ের চাহিদা সংক্রান্ত তথ্য আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে ডিপিইর বই বিতরণ শাখায় পাঠাতে হবে। সময়মত চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যবই মুদ্রণ ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিষয়টি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের চাহিদা চেয়ে উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে একই ধরনের চিঠি পাঠায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।