ফেলোশিপ পাচ্ছেন ইবির ৩৯ শিক্ষার্থী

২০২২-২০২৩ অর্থবছরে উচ্চশিক্ষায় গবেষণা সহায়তা প্রকল্প ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’ পাচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩৯ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ভৌতবিজ্ঞান গ্রুপে ১১ জন, জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে ২০ জন, খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞানে ৭ জন এবং ও নবায়ন গ্রুপে একজন শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছেন।

রবিবার (১ জানুয়ারি) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব খান রেজা-উন-নবি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভৌতবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের মনোনীত ৫ শিক্ষার্থী হলেন, শাকিল আহমেদ, হনুফা খাতুন, তারিকুল ইসলাম, মিফতাহুল জান্নাত। গনিত বিভাগের তিন শিক্ষার্থী হলেন, দেলওয়ার হোসেন, সৌরভ কুমার ও আতিকুর রহমান এবং বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রেজওয়ান আল হাসিব এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তাসনিমা ইসলাম ও পরিসংখ্যান বিভাগের জাহিদ হাসান।

জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে মনোনীতরা হলেন- বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মনোনীত ১৯ জন শিক্ষার্থী হলেন, নাজমুল হুদা, পুজা রানি, রুমানা আক্তার, আল-আমিন মিলন, শাহিদুল ইসলাম, সাব্বির আহমেদ, হুমায়েত ইসলাম, তানিয়া খাতুন, হুসাইন আলি, কাঞ্চুন আক্তার, শাহরিন সুলতানা, লিজা খাতুন, মইন ইসলাম, সাব্বির আহমেদ, নাসরিন ইসলাম, মাহরুব হোসেন, নুরুন-নবী, লাবনী ইয়াসমীন, মাসুদুর রহমান এবং ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের মেহেদী হাসান রানা।

খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মনোনীত ৭ জন শিক্ষার্থী হলেন, ফাহমিদা আক্তার, রাসেল রানা, হাফসা হেনা স্বর্ণালী, ফাহিদা রহমান, নাহিদুল ইসলাম, সাবিহা তাসবির, সুমাইয়া জেসমিন। এছাড়া নবায়ন ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পাচ্ছেন ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের বিভাগের তাহমিদা খন্দকার মিতু।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ বছর ভৌতবিজ্ঞান, জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান, খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান এবং নবায়নগ্রুপ এ ৪ ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩ হাজার ৪৫০ জন গবেষক। এদের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩৯ জন শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছেন।

ফেলোশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমএস শিক্ষার্থী প্রতি ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল গবেষক (১ম বর্ষ ৬৮ হাজার ৪০০ টাকা, ২য় বর্ষ ৯৯ হাজার টাকা) এবং পিএইচডি গবেষক ৩ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৭-১৯৭৮ অর্থবছর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান প্রদান করে আসছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।