বগুড়ার শিবগঞ্জে ওসির সহযোগীতায় সংসারে ফিরলো গৃহবধু

বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলোহের অবসান, বিবাহ বিচ্ছেদের পরির্বতে ঘর বাঁধা শুরু করলেন গৃহবধু।

জানা যায়, উপজেলার আটমূূল ইউনিয়নের বারামদেউল গ্রামের কৃষক আনিসুর রহমান এর মেয়ে নুসরাত এর সাথে একই ইউনিয়নের আটমূল ইউনিয়নের ছোটবেলঘড়িয়া গ্রামের আব্দুল কাফি এর ছেলে সিহাব উদ্দিন এর বিয়ে হয়ে। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিলো। তাদের ঘরে এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। পারিবারিক সমস্যাজনীত কারণে বিপত্তি বাধে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে গত দেড় বছর যাবৎ এ কলোহ চলে আসছিলো। এর ফলে, বিবাহ বিচ্ছেদ এর সিদ্ধান্ত নেয় ওই দম্পত্তি।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারী) শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল আলম বিষয়টি জানতে পারেন। পরবর্তিতে তিনি উভয় পরিবারের সদস্যদেরকে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) থানায় ডেকে নেন। এসময় উভয় পরিবারের সদস্য এবং ওই দম্পত্তির সাথে কথা বলেন তিনি। তাদের কথা মত এই ভেঙ্গে যাওয়া সংসার পুনরায় জোড়া লাগাতে রবিবার দুপুরে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মন্জুরুল আলম মেয়ের পিতার বাড়িতে যান। সেখানে জামাই সিহাব এর হাতে মেয়েকে তুলে দেন তিনি।
এ ঘটনায় মেয়ের পিতা আনিসুর রহমান বলেন, আল্লাহ যেন স্যাররে ভালো রাখেন। স্যারের কারণে আমার মেয়ে তার স্বামী ও সন্তানসহ সংসার ফিরে পেলেন।

এ বিষয়ে সিহাব এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা যে ভুল করেছি তাতে আমরা লজ্জিত। ভবিষ্যতে আমরা আর কোনদিন ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হবো না। আমাদের সন্তান রয়েছে। তার ভবিষ্যতের জন্য আমরা পুনরায় স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করবো।

শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল আলম বলেন সাংসারিক জীবনে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমানিল্যতা হতেই পারে কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। তাদের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই দম্পতিদের পুনরায় স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করার মত সুযোগ করে দিলাম। ভবিষ্যতে তারা আর ঝগড়া বিবাদ করবে না বলে জানিয়েছে।