বগুড়ার শিবগঞ্জে বর্ষা মৌসুমে অনাবৃষ্টি ! বীজতলা নিয়ে বিপাকে কৃষকেরা

বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ঋতু ভেদে এদেশের কৃষকরা বিভিন্ন মৌসুমে নানা রকম ফসলাদি চাষ করে জীবীকা নির্বাহ করে।
এখন চলছে আষাঢ় মাস। এ মাসে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতিগত কারণে তা হচ্ছেনা। এতে আমন ধান চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে শিবগঞ্জের কৃষকেরা।

কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলা শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত এ উপজেলায় কৃষকরা সাড়ে ৮’শ হেক্টর জমিতে আমন ধানের বীজতলা তৈরী করেছে। যা আরো ১০ হেক্টরে উন্নিত হবে। এ উপজেলায় আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা সাড়ে ১৮হাজার হেক্টর।

এ উপজেলার কৃষকেরা বলছে, এ উপজেলার প্রধান ফসল ধান, কিন্তু সময় মতো বীজতলা তৈরী না করতে না পারলে আমন ধানের চারা সময় রোপন করা সম্ভব হবেনা। প্রচন্ড তাপদাহের ফলে উপজেলার আমন ধানের বীজতলা পুরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা বীজতলা রক্ষার জন্য গভীর নলকূপ ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি সেচ প্রদান করছে ।

শনিবার (১৬ জুলাই) সরেজমিনে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মীরেরচক মাঠে গভীর নলকূপের মাধ্যমে কৃষকদের বীজতলায় পানি দিতে দেখা গেছে। গভীর নলকূপের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের বীজতলা পুরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বীজতলা রক্ষার্থে বাধ্য হয়ে গভীর নলকূপ চালু করতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার নলকূপ থেকে প্রায় শতাধিক কৃষকের বীজতলায় পানি সেচ প্রদান করছি।

মীরেরচক গ্রামের কৃষক সোহেল হোসেন ও দুদু মিয়া বলেন, আষাঢ় মাসে বৃষ্টির পরিবর্তে এতো রোদের তাপ আমাদের জীবনে দেখিনি। আমরা আমন ধানের বীজতলা রক্ষার জন্য বিকল্প হিসেবে গভীর নলকূপদ্বারা পানি দিচ্ছি।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল-মুজাহিদ সরকার বলেন, আমন ধানের বীজতলা রক্ষা করার জন্য আমার সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগীতা করে যাচ্ছি। তাপদহ কমে আসলে এবং বৃষ্টি হলে এ সংকট কেটে যাবে।