বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও মুক্তিযুদ্ধের ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির ক্ষোভ।

চট্টগ্রামের জামালখান এলাকায় বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরাল ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস খচিত স্থিরচিত্র সম্বলিত ট্যাম্পার্ক গ্লাস ভাঙচুর এর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

রবিবার(১৮ জুন) নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক বিপ্লব মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এস এম মাহাবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, বাঙালিকে স্বাধীন জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আন্দোলন সংগ্রামের পথ পেরিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অনুপ্রেরণার উৎসও হয়ে ওঠেন।

অন্যদিকে মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবময় ঘটনা। এই যুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা লাভ করেছি স্বাধীন দেশ, নিজস্ব পতাকা।

প্রতিবাদ লিপিতে আরোও বলা হয়, বিগত ১৪ জুন, বুধবার তারুণ্যের সমাবেশ নামের জনসভায় যোগ দিতে যাওয়া বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের উশৃংখল নেতাকর্মীদের হামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরাল ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চির ভার এর ঘটনায় নোয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদালয় শিক্ষক সমিতি নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা স্বাধীনতা-বিরোধী অপশক্তির এধরনের হীন আস্ফালন কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না।

এতে বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যেখানে বাংলাদেশকে দুর্বার গতিতে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সেখানে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে রুখে দেয়ার জন্য এ স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিরোধী নানাভাবে চক্রান্ত করে যাচ্ছে।

নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি মনে করে বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি চরম অপ্রক্ষামূলক ও দৃষ্টতামূলক এ ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা। নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি এ জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং পাশাপাশি প্রশাসনের প্রতি এ আহবান জানায় যেন ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।